গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে সমস্ত রকমের শব্দবাজি নিষিদ্ধ হয়েছে। আদালত পর্যন্ত জানিয়ে দিয়েছে, সবুজ বাজিতেই উদযাপন করতে হবে কালীপুজো-দিওয়ালি। শিলিগুড়িতে বাজি বাজারে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল গত বছর। এবারও বাজার ভালই হবে বলে আশাবাদী বাজি ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের কথায়, শব্দবাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় সবুজ বাজির চাহিদা এখন বাড়ছে। তবে প্রথম প্রথম অনেকেই শব্দবাজি কিনতে চাইতেন না বলে অভিযোগ। কারণ, সাধারণ বাজির তুলনায় সবুজ বাজির দাম অনেকটাই বেশি। তবে এখন সে ছবিতে বদল আসছে।
কাওয়াখালিতে বাজি বাজার শুরুর প্রথম দিনই ক্রেতাদের ভিড় দেখা গিয়েছে। বাজি বাজারের উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ভিড় আরও বাড়বে। সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, ‘আগামিদিনে উত্তরবঙ্গেও সবুজ বাজির কারখানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। যদিও আপাতত রাজ্যের বাইরে থেকে সবুজ বাজি আমদানি হচ্ছে।’
কাওয়াখালির বাজি বাজারে এবার ৭২টি দোকান বসছে। উদ্যোক্তারা জানান, বাজি বাজারে দোকান দিতে চেয়ে এবার প্রচুর আবেদন এসেছিল। লটারির মাধ্যমে প্রশাসন ৭২টি আবেদন বেছে নিয়েছে। দীপাবলি পর্যন্ত এই বাজি বাজার চলবে।