আরজি করের ৪৭ জন ডাক্তার ও ডাক্তারি পড়ুয়ার বহিষ্কার নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আপাতত কার্যকর করা যাবে না। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ দিন বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। আদালতের নির্দেশ, কোন কোন কারণে এই ৪৭ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা আগামী শুনানিতে জানাতে হবে কর্তৃপক্ষকে।সোমবার ঠিক এ বিষয়ে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের খানিক ‘তর্কাতর্কি’ হয়। আরজি করের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জানতে চান, কার অনুমতি নিয়ে তিনি ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করেছেন? এই ঘটনাকে কেন ‘থ্রেট কালচার’ বলা হবে না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। ওই প্রতিনিধির দলের তরফে অনিকেত মাহাতো জানান, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারা এক-একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। প্রয়োজনে তিনি তদন্ত করে দেখতে পারেন। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রশাসনের কাজে এ ভাবে নাক গলানো যায় না।
উল্লেখ্য, আরজি করে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু হয়। এরপরেই আরজি করের স্পেশাল কলেজ কাউন্সিল এই অভিযোগের তদন্ত করে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হয়। এরপর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪৭ জনকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই ৪৭ জন। এ বার সেই নির্দেশ আপতত স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, আরজি করে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু হয়। এরপরেই আরজি করের স্পেশাল কলেজ কাউন্সিল এই অভিযোগের তদন্ত করে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হয়। এরপর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪৭ জনকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই ৪৭ জন। এ বার সেই নির্দেশ আপতত স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
সোমবার মমতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁর সরকারকে জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এ ধরনের বিষয় সরকারকে জানানো কর্তব্য।