দুর্গোৎসব মিটলেও উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে মঙ্গলবার থেকে শুরু ‘অকাল বোধন’। সিঙ্গারদহে আজ ষষ্ঠী। এ দিন থেকে গ্রামে শুরু হয়েছে সোনামতী কুম্ভরানির পুজো। নারী শক্তিকে সম্মান জানিয়ে দীর্ঘ প্রায় কয়েক দশক ধরে সোনামতী কুম্ভরানির দুর্গাপুজো হচ্ছে সিঙ্গারদহে।এই এলাকায় মূলত রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। এক সময় কুমোর সম্প্রদায়ের আধিক্য ছিল এই গ্রামে। এলাকার লোকজন জানান, আনুমানিক ৩০০ বছরের পুরনো এই পুজো। দেবী প্রতিমা দুর্গারই রূপ। দশভূজা, মহিষাসুরমর্দিনী। ডানে বাঁয়ে লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশরা দাঁড়িয়ে। তবে এই দুর্গাপ্রতিমা এখানকার মানুষের কাছে সোনামতী কুম্ভরানি দেবী নামেই পূজিতা হয়।
পুজো কমিটির সদস্য সঞ্জীবকুমার সিংহ বলেন, ‘শনিবার বিসর্জন হয়। এবারও ২২ তারিখ থেকে পুজো শুরু হল। সারা বছর আমরা এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। শুধু আমাদের গ্রাম নয়, পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মানুষও এই মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সঙ্গে বিশাল মেলা বসে। শুক্রবার পর্যন্ত মেলা চলবে। হিসেব মতো আজ আমাদের ষষ্ঠী। মেলা চলবে নবমী অবধি। দশমীর দিন বিকালে বিসর্জন।’
পুজো কমিটির সদস্য সঞ্জীবকুমার সিংহ বলেন, ‘শনিবার বিসর্জন হয়। এবারও ২২ তারিখ থেকে পুজো শুরু হল। সারা বছর আমরা এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। শুধু আমাদের গ্রাম নয়, পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মানুষও এই মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সঙ্গে বিশাল মেলা বসে। শুক্রবার পর্যন্ত মেলা চলবে। হিসেব মতো আজ আমাদের ষষ্ঠী। মেলা চলবে নবমী অবধি। দশমীর দিন বিকালে বিসর্জন।’
কথিত আছে, আনুমানিক প্রায় তিনশো বছর আগে এই গ্রামেরই একটি বাড়িতে শ্রীমতী কুম্ভরানি নামে এক নববধূ দুর্গাপুজোর মেলায় যাবেন বলে সাজগোজ করছিলেন। দেরি হওয়ায় বাড়ির সকলে ডাকাডাকি শুরু করেন। এরপরই বাড়ির একজন ঘরে গিয়ে দেখেন, বাড়ির বধূ কুম্ভরানি মা দুর্গার রূপ ধারণ করেছেন। সেই থেকেই এই পুজোর প্রচলন।
পুজো কমিটির সদস্য সঞ্জীবকুমার সিংহ বলেন, ‘গোটা উত্তর দিনাজপুর থেকে মানুষ তো আসেই। বিহার থেকেও বহু মানুষ আসেন এই পুজো ও মেলা দেখতে। আর দানের সময় শুনি কেউ কলকাতা থেকে দিয়েছেন, কেউ বা বালুরঘাট থেকে দান দিয়েছেন।’ গ্রামের লোকের বিশ্বাস, সমস্ত বিপদআপদ থেকে বছরভর গ্রামবাসীকে রক্ষা করে এই কুম্ভরানি মাতা।