আর এক বাসিন্দা পূর্ণিমা নস্করের কথায়, ‘জানি না কেন সরকার মাতলা নদীর এই বাঁধ কংক্রিটের করছে না। যদি করত তা হলে প্রত্যেক বছর আমাদের মতো অসহায় মানুষদের গৃহহীন হতে হতো না।’ বাঁধের ধারেই ঘর স্বরূপ নস্করের। তিনি আক্ষেপের সুরে বললেন, ‘মাতলা সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় নদী। অথচ সেই নদীর বাঁধ কি না হালকা পাতলা বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হয়। ওই বাঁশ দিয়ে কি আর ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস ঠেকানো যায়?’
শুধুমাত্র দেউলবাড়ি-দেবীপুর পঞ্চায়েত এলাকা নয়, পাশের গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের কৈখালিতে নদীবাঁধের যা অবস্থা, তাতে ভয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। একই অবস্থা গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী ও মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর পঞ্চায়েত এলাকাতেও। সমস্ত দুর্বল নদীবাঁধ দুর্যোগের আগেই মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের কৈখালি গ্রামের নদীবাঁধের অবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য।
পাশাপাশি এ দিন কুলতলি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য দপ্তর, সেচ দপ্তর, পূর্ত দপ্তর, খাদ্য দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। বারুইপুরের এসডিও চিত্তদীপ সেন বলেন, ‘এসডিও ও বিডিও অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সমস্ত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা স্কুলগুলিকেও ত্রাণশিবির হিসেবে কাজে লাগাব। পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী মজুত করা হয়েছে।’