জয়গাঁর গণধর্ষণ-খুনে টাইমলাইনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তদন্তকারীরা – নির্যাতিতা শিশুকন্যার বাড়িতে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের প্রতিনিধিরা


এই সময়, আলিপুরদুয়ার: শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ-খুনের তদন্তে জয়গাঁর অকুস্থলে বৃহস্পতিবার বেলা ১২.৪০ নাগাদ পৌঁছন ৫ সদস্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের একটি দল। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, যতটা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি তথ্য উদ্ধার করা গিয়েছে অকুস্থল থেকে। যা অভিযোগ প্রমাণে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠবে।অন্য দিকে, ধৃতদের টানা জেরা করে অপরাধের ক্রমতালিকা (টাইমলাইন) তৈরির উপরে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেমন, ঠিক কখন ওই শিশুকন্যাকে চাউমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত। কতক্ষণ তাকে নিয়ে ঘুরেছিল সে। আদৌ কি কিছু খাইয়েছিল? কখন সে ওই শিশুকন্যাকে অকুস্থলে নিয়ে গিয়েছিল, কখনই বা মূল অভিযুক্তের দুই সঙ্গী অকুস্থলে চলে আসে। নাকি আগে থেকেই তারা ওই পরিকল্পনার কথা জানতো — এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছিল, মূল অভিযুক্ত নাবালিকার উপরে অত্যাচার চালানোর সময়ে তার দুই সঙ্গী দেখে ফেলেছিল। এর পরে তারাও একই অপরাধে সামিল হয়। কিন্তু দীর্ঘ জেরা ও তদন্তের পরে বৃহস্পতিবার দিনের শেষে পুলিশকর্তাদের দাবি, পূর্বপরিকল্পনা করেই ওই নাবালিকাকে নিয়ে এসেছিল মূল অভিযুক্ত।

গণধর্ষণ-খুনের পরে পুড়িয়ে দেওয়া হলো শিশুকন্যার দেহ, জয়গাঁর ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন
তার দুই সঙ্গী সবটাই জানতো। ঘটনার আগে একসঙ্গে বসে মদ্যপানও করে তারা। অভিযুক্তরা যাতে কোনও ভাবেই পার না পায়, তার জন্য ঘটনার পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্তও নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, ১৫ অক্টোবর রাতে দেহটি জ্বালিয়ে দেওয়ার পরে বৃষ্টি নেমে যাওয়ায় আগুন নিভে গিয়ে দেহাবশেষ রয়ে যায়। কিন্তু অপরাধীরা এতটাই মদ্যপান করেছিল যে, নেশার ঘোরে বিষয়টি নিয়ে তারা আর মাথাই ঘামায়নি।

জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন, ‘আমরা সঠিক দিশাতেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছি। আমার স্থির বিশ্বাস যে, আমরা সফল হবোই।’ অন্য দিকে, এদিন বেলা ১১টা নাগাদ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ডাঃ পবিত্র গোস্বামীর নেতৃত্বে নির্যাতিতার বাড়িতে আসেন। তাঁরা বেশ কিছু সময় ধরে ওই শিশুকন্যার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।

এরপর এলাকার মহিলাদের নিয়ে তাঁরা একটি মিছিলও করেন। ওই মিছিলে দাবি ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। মিছিল শেষে ডাঃ গোস্বামী বলেন, ‘শিশুকন্যাটির বাবা বিছানায়। কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন। মা শোকাহত হলেও চোয়াল শক্ত করে অপরাধীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে অনড় আছেন। আমরাও চাই, পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের চরম শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *