প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছিল, মূল অভিযুক্ত নাবালিকার উপরে অত্যাচার চালানোর সময়ে তার দুই সঙ্গী দেখে ফেলেছিল। এর পরে তারাও একই অপরাধে সামিল হয়। কিন্তু দীর্ঘ জেরা ও তদন্তের পরে বৃহস্পতিবার দিনের শেষে পুলিশকর্তাদের দাবি, পূর্বপরিকল্পনা করেই ওই নাবালিকাকে নিয়ে এসেছিল মূল অভিযুক্ত।
তার দুই সঙ্গী সবটাই জানতো। ঘটনার আগে একসঙ্গে বসে মদ্যপানও করে তারা। অভিযুক্তরা যাতে কোনও ভাবেই পার না পায়, তার জন্য ঘটনার পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্তও নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, ১৫ অক্টোবর রাতে দেহটি জ্বালিয়ে দেওয়ার পরে বৃষ্টি নেমে যাওয়ায় আগুন নিভে গিয়ে দেহাবশেষ রয়ে যায়। কিন্তু অপরাধীরা এতটাই মদ্যপান করেছিল যে, নেশার ঘোরে বিষয়টি নিয়ে তারা আর মাথাই ঘামায়নি।
জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন, ‘আমরা সঠিক দিশাতেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছি। আমার স্থির বিশ্বাস যে, আমরা সফল হবোই।’ অন্য দিকে, এদিন বেলা ১১টা নাগাদ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ডাঃ পবিত্র গোস্বামীর নেতৃত্বে নির্যাতিতার বাড়িতে আসেন। তাঁরা বেশ কিছু সময় ধরে ওই শিশুকন্যার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর এলাকার মহিলাদের নিয়ে তাঁরা একটি মিছিলও করেন। ওই মিছিলে দাবি ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। মিছিল শেষে ডাঃ গোস্বামী বলেন, ‘শিশুকন্যাটির বাবা বিছানায়। কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন। মা শোকাহত হলেও চোয়াল শক্ত করে অপরাধীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে অনড় আছেন। আমরাও চাই, পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের চরম শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’