মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় পুরসভার তরফে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসএন ব্যানার্জি রোডে পুরসভার সদর দপ্তরে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সেখান থেকেই সিসিটিভিতে গোটা শহরে নজরদারি চালানো হবে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্যে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সব কন্ট্রোলিং অফিসার এবং জরুরি বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং জানিয়েছেন, বৃষ্টি হলে দ্রুততার সঙ্গে যাতে জমা জল সরিয়ে ফেলা যায় তার জন্যে সব পাম্পিং স্টেশন চালু থাকবে। সেখানে হাজির থাকবেন ইঞ্জিনিয়াররা। নিচু এলাকাগুলিতে জল সরানোর জন্যে অতিরিক্ত পাম্প রাখা হচ্ছে। জল নামানোর জন্যে ম্যানহোল এবং গালিপিটের মুখগুলি পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়লে কিংবা ডাল ভেঙে পড়লে সেগুলি দ্রুত সরানোর জন্যে ট্রি-কার্টিং মেশিন-সহ যন্ত্রপাতি নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হাজির থাকবেন উদ্যান বিভাগের আধিকারিকরাও। শহরে কয়েক হাজার বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে অনেক জায়গায় লোকজন বসবাস করেন। ঝড়ে সেই সব পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কায় বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হচ্ছে। পুরসভার তরফে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।
আবার ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং সিইএসসি-র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎসচিব শান্তনু বসু। ঝড়ের কারণে কোথাও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে তা দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।