Cyclone Dana,ঝড়ে বন্ধ ট্রাইডেন্ট লাইট, জমা জল ও ভাঙা গাছ সরাতে প্রস্তুতি – kolkata municipality has decided to switch off all the trident lights in city for cyclone dana


এই সময়: অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় দানার হানার সময়ে বুধবার থেকেই কলকাতার সব ট্রাইডেন্ট লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। ঝড়-বৃষ্টির সময়ে শর্টসার্কিটে নাগরিকের অবাঞ্ছিত মৃত্যু ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি নিচু এলাকাগুলিতে, যেখানে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে ইলেকট্রিক ফিডার বক্স সুইচ অফ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সিইএসসি-র তরফেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।পুরসভার লাইটিং বিভাগের ডিজি সঞ্জয় ভৌমিকের ব্যাখ্যা, ‘ঝড়-বৃষ্টিচে ট্রাইডেন্ট লাইট পোস্টগুলি অনেক সময়ে শর্টসার্কিট হয়ে যায়। তার জেরে অতীতে শহরে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই যতদিন না দুর্যোগ কাটছে ততদিন ট্রাইডেন্ট লাইট বন্ধ থাকবে।’

সক্রিয় পুরসভা

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় পুরসভার তরফে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসএন ব্যানার্জি রোডে পুরসভার সদর দপ্তরে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সেখান থেকেই সিসিটিভিতে গোটা শহরে নজরদারি চালানো হবে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্যে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সব কন্ট্রোলিং অফিসার এবং জরুরি বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং জানিয়েছেন, বৃষ্টি হলে দ্রুততার সঙ্গে যাতে জমা জল সরিয়ে ফেলা যায় তার জন্যে সব পাম্পিং স্টেশন চালু থাকবে। সেখানে হাজির থাকবেন ইঞ্জিনিয়াররা। নিচু এলাকাগুলিতে জল সরানোর জন্যে অতিরিক্ত পাম্প রাখা হচ্ছে। জল নামানোর জন্যে ম্যানহোল এবং গালিপিটের মুখগুলি পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়লে কিংবা ডাল ভেঙে পড়লে সেগুলি দ্রুত সরানোর জন্যে ট্রি-কার্টিং মেশিন-সহ যন্ত্রপাতি নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হাজির থাকবেন উদ্যান বিভাগের আধিকারিকরাও। শহরে কয়েক হাজার বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে অনেক জায়গায় লোকজন বসবাস করেন। ঝড়ে সেই সব পুরোনো বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কায় বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হচ্ছে। পুরসভার তরফে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।

‘তীব্র ঘূর্ণিঝড়’-এ পরিণত হলো ‘দানা’, এখন অবস্থান কোথায়? জানাল আবহাওয়া অফিস

আবার ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং সিইএসসি-র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎসচিব শান্তনু বসু। ঝড়ের কারণে কোথাও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে তা দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *