এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাস্তাঘাট। শিয়ালদহ স্টেশনচত্বরও কার্যত ফাঁকা। মেট্রোর অবস্থাও একইরকম। লোকাল ট্রেনগুলিতে হাতে গোনা যাত্রী। বালির বস্তা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের দরজা। এখন শুধু প্রহর গোনা চলছে।
দানার জেরে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। প্লাবিত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের নিচু এলাকা। সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও কলকাতায়। কাঁচা বাড়ির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পাকাবাড়িও। ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
নজরে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সমস্ত ‘অপারেশ’ বন্ধ রাখা হবে। হাওয়া অফিস হলদিয়া, কলকাতা দুই বন্দরের জন্যই মহাবিপদ সঙ্কেত দিয়ে রেখেছে। হলদিয়ায় সমস্তরকম কাজ বন্ধ। জাহাজগুলিকে রাখা হয়েছে নিরাপদ স্থানে। বন্দরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নজর ঝড়ের গতিপথে। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন ) প্রবীণকুমার দাস বলেন, ‘বন্দরের মধ্যে মোট ১৬টি ছোট বড় জাহাজ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বন্দরের অপারেশন ক্ষেত্রে একাধিক সতর্কতা জারি হয়েছে।’