Cyclone Dana Tracker,উন্নত প্রযুক্তি দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা সহায়? ব্যাখ্যা আবহাওয়া দপ্তরের প্রাক্তন অধিকর্তার – cyclone dana effect explanation by ex alipore imd department head


আয়লায় তছনছ হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্যোগের মোকাবিলায় উন্নত প্রযুক্তি কতটা সাহায্য করছে প্রশাসনকে? কী বলছেন তৎকালীন আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোকুল চন্দ্র দেবনাথ?’দানা’ সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে না পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও ‘সিঁদুরে মেঘ’ ভয় ধরাবেই। গত ১৫ বছরে প্রযুক্তির উন্নতি অনেকটাই হয়েছে। উন্নতমানের স্যাটেলাইট সিস্টেম ‘পিন পয়েন্ট’ পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করছে। তৎকালীন (আয়লার সময়কালীন) আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোকুল চন্দ্র দেবনাথের কথায়, ‘পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য বর্তমানে গাণিতিক পদ্ধতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ডেভেলপড মেটেরলজি আমাদের পূর্বাভাসের জন্য অনেকটাই সাহায্য করে। এখন যে কোনও দেশের প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের দেশের প্রযুক্তিও পাল্লা দিতে পারবে।’

আগামী দিনে দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি আরও সহজ হবে বলেই ধারণা তাঁর। প্রাক্তন অধিকর্তা গোকুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, ‘মিশন মৌসম’ প্রকল্প অত্যাধুনিক আবহাওয়া নজরদারি, বায়ুমণ্ডলের উন্নত পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করবে।’ ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ মে সাগরে আছড়ে পড়েছিল আয়লা৷ রাজ্যের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত লণ্ডভণ্ড করে দেয় আয়লা৷ আয়লার গতিপথ ছিল উপকূল এলাকা থেকে পাহাড়ের দিকে। মূলত, দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে৷

২০০৯ সালে আয়লা সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়ে৷ প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ছিল এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাসার্ধ। আয়লার পর ফণি, আমফান, বুলবুল, ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়েরও কমবেশি প্রভাব পড়েছে বাংলায়। আমফান ঝড়ের সর্বাধিক গতিবেগ ছিল ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা৷ এ বার শিয়রে ‘দানা’।

Cyclone Dana Updates: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জেরে বৃষ্টি কোথায়-কোথায়?

বুধবার মধ্যরাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে দানা। সাগরদ্বীপ থেকে প্রায় ৩৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। কয়েক বছরের আগের স্মৃতি যে এখনও দগদগে।

Dana Cyclone Tracker: ‘জোরে হাওয়া হলেই ভয় হয়’, ‘দানা’ আতঙ্কে কাঁটা গাদিয়াড়ার নদীর পাড়ের বাসিন্দারা
আবহাওয়া দপ্তরের শেষ আপডেট অনুযায়ী ল্যান্ডফলের সময়ে দানা ঘূর্ণিঝড়ে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিমি। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে। কিছু জায়গায় ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *