ফ্ল্যাট হস্তান্তরের আগেই মাস্ট ‘সিসি’: ট্রাইব্যুনাল – state real estate regulatory tribunal directed promoters that cc and possession certificate are mandatory for buying flats


নির্মীয়মাণ প্রজেক্ট বিক্রির পর হাতবদল করে ক্রেতাকে বিড়ম্বনায় ফেলা এবং প্রতারণার অগুন্তি অভিযোগ সামাল দিতে নয়া নির্দেশ দিল রাজ্য রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি ট্রাইব্যুনাল। কোনও ফ্ল্যাট ক্রেতাকে পজেশন দেওয়ার আগে পুরসভা থেকে সেই প্রপার্টির কমপ্লিশন সার্টিফিকেট বা সিসি এবং ফ্ল্যাটের পজেশন সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে প্রোমোটারকে নির্দেশ দিল ট্রাইব্যুনাল।এই নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, বিচারবিভাগীয় সদস্য গৌরসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশাসনিক সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ, সিসি এবং পজেশন সার্টিফিকেট চেয়ে প্রোমোটার আবেদন করলে দ্রুত সব দিক খতিয়ে দেখে ওই সার্টিফিকেট দিতে হবে পুরসভাকে।

এই রায় দিয়ে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারকে নির্দেশ দিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সিসি এবং পজেশন সার্টিফিকেট রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কাছ থেকে হস্তগত করে তার পরে ওই ফ্ল্যাট মালিকদের দিতে হবে। অন্যথায় মামলাকারী সুদীপকুমার দে এবং তাঁর বোন সুচিস্মিতা দে ফ্ল্যাটের জন্যে ২০২১ ও ২০২২ সালে যে টাকা দিয়েছিলেন তা ১৫ শতাংশ সুদ সমেত তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে।

ইতিমধ্যেই ওই দুই ভাই-বোনের দেওয়া টাকা এবং আগামী দু’মাসের সুদের টাকা ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে প্রোমোটারকে জমা দিতে হয়েছে রেজিস্ট্রারের কাছে। বিধি অনুযায়ী, দু’মাসের মধ্যে যদি এই রায় উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ না করা হয় তা হলে সেই টাকা রেজিস্ট্রারকে তুলে দিতে হবে মামলাকারীদের হাতে।

কলকাতা পুরসভা সম্প্রতি এক নির্দেশে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের আগে সিসি এবং পজেশন সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু রাজ্যের অন্য কোনও পুরসভায় এই আইন কার্যকরী নেই। অথচ ২০১৬ সালের রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি আইন এবং পুর-আইন অনুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক।

নরেন্দ্রপুরের কুমড়োখালি এলাকায় সাদার্ন স্কাই নামে একটি আবাসনে ২০২১ সালে ফ্ল্যাটের বায়না করেন পেশায় অধ্যাপক সুদীপবাবু। তিন মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা থাকায় তিনি বাকি টাকাও দিয়ে দেন। ফ্ল্যাট নেওয়ার পরে দেখেন, তা বসবাসের অযোগ্য। ওই আবাসনেই তাঁর বোন সুচিস্মিতা দে ৫৪ লক্ষ টাকায় একটি পার্কিং-সহ প্রায় ১২০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরের মধ্যে তিনি প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।

কিন্তু তার পরেই ভাইয়ের থেকে প্রজেক্টের কাজ শেষ না-হওয়া, পুরসভা থেকে সিসি বা পজেশন সার্টিফিকেট প্রোমোটারের না-পাওয়ার মতো একাধিক তথ্য জানার পরে তিনি বাকি টাকা দেওয়া বন্ধ করেন। তাঁর ফ্ল্যাটও হ্যান্ডওভার করেননি প্রোমোটার। ট্রাইব্যুনালে মামলার পর প্রোমোটারের আইনজীবী বলেন, টাকা বকেয়া থাকায় ফ্ল্যাট হ্যান্ডওভার করা হয়নি। তাঁর দাবি, অফলাইনে পুরসভা বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করলেও এখন অনলাইনে পুরসভা থেকে ওই সব সার্টিফিকেট নিতে হয়। তবে বকেয়া টাকা মেটালে তাঁরা ফ্ল্যাট দিয়ে দিতে তৈরি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *