ওদিকে তখন ফুঁসছে দানা, ফুটফুটে দুই শিশুর জন্ম হল উপকূলের হাসপাতালে – two pregnant women give birth who are evacuated due to cyclone dana


ওদিকে তখন ‘দানা’-র চোখরাঙানি। ঘরে প্রসূতি। যে কোনও সময় সন্তানের জন্ম হতে পারে। আশাকর্মীরা খোঁজ নিয়ে এরকম সাতজনকে উপকূলের হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। দুর্যোগের রাতে মা হলেন তাঁদেরই দু’জন। ঘূর্ণিঝড় যখন উপকূলে আছড়াচ্ছে, দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জন্ম হয় দুই শিশুর।ঘূর্ণিঝড়ের রাতে পদিমা-২ ব্লকের বাসিন্দা শিবু দাসের ঘরে এসেছে মেয়ে। মা হয়েছেন সুস্মিতা। শিবু দাসের কথায়, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে একটা উদ্বেগ কাজ করছিল। রাজ্য প্রশাসন নজর রাখায় কোনও ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়নি। একজন আশাকর্মী অ্যাম্বুল্যান্সে করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে যান।’

মেয়ের নাম বৃষ্টি রেখেছেন শিবু। জানান, মেয়ের জন্মের সময় তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল উপকূলের জেলায়। সেই রাতটা কোনওদিনও তিনি ভুলতে পারবেন না।

শিবু দাস জানান, ২০২০ সালে আম্ফান যখন আছড়ে পড়েছিল, একইভাবে পাশে ছিল জেলা প্রশাসন। চিকিৎসকরাও খুব যত্ন করেছেন। রামনগর-১ ব্লকের বিশ্বনাথপুরের রমা বেরাও মা হয়েছেন ২৪ অক্টোবর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে আতঙ্কে ছিলেন রমা ও তাঁর স্বামী লাল্টু বেরা। আপাতত মা ও সদ্যোজাত ভালো আছে।

রামনগর-১ ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ জানান, আগাম সতর্কতা হিসাবে আগেভাগেই সাতজন প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ২৪ তারিখ দু’জন সন্তানের জন্ম দেন। বিডিও বলেন, ‘আমাদের কাছে আসন্ন প্রসবাদের তালিকা থাকে। আপদকালীন পরিস্থিতিতে প্রশাসন থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আমরা কথা বলে নিই। যেহেতু ওঁরা স্থানীয়, সুবিধা হয় যোগাযোগে। স্বাস্থ্য দফতর থেকেও বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করে পরিস্থিতির কথা জানানো হয়। যাঁদের ডেলিভারি ডেট একেবারেই কাছে এসে গিয়েছে, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *