‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উড়িয়ে ডাক্তারদের নয়া মঞ্চের আত্মপ্রকাশ – paschimbanga junior doctors association new platform of junior doctors press meet


ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরাম বা ডব্লুবিজেডিএফ-এর (WBJDF) বিরুদ্ধে এ বার প্রশ্ন তুলল নয়া মঞ্চ ‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’। অনশন তোলার পাঁচ দিন পর শনিবার আরজি করের অডিটোরিয়ামে গণ কনভেশনের ডাক দেন কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা। কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই দিনই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন আরজি করের ইন্টার্ন শ্রীশ চক্রবর্তী, ইন্টার্ন সৌরভ দাস, সাগর দত্ত মেডিক্যালের আনসারুল হক-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। তাঁরাই পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তাঁদের দাবি, অভয়া-কাণ্ডের বিচারই তাঁদের মূল দাবি। অভয়ার নামে বিপুল টাকা তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলে তা কোথায় যাচ্ছে সে প্রশ্নও তোলেন পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের দাবি, তাঁরা রোগীদের পরিষেবা দেওয়া ও প্রতিবাদ একই সঙ্গে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেকে শুধুই প্রতিবাদ জানাতে চান। তাঁরা বন্ধ রাখতে চান পরিষেবা। মঞ্চের সদস্য আরজি করের ইন্টার্ন শ্রীশ চক্রবর্তী বলেন, ‘৯ অগস্ট দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আমাদের কলেজে ঘটে। কিন্তু অভয়া দিদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থ বজায় রাখতে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অরাজকতা তৈরি করতে এগিয়ে আসেন। তাঁরা বারবার কর্মবিরতির দিকে এগিয়ে যান। আমরা কর্মবিরতি মানি না। আমরা বিশ্বাস করি, রোগী পরিষেবা দেওয়া অগ্রাধিকার। তারই সঙ্গে প্রতিবাদ চলবে।’

শ্রীশের বক্তব্য, কর্মবিরতিতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বক্তব্য, তাঁদের পথ থেকে সরাতে কলেজে ঢোকা বন্ধ করা হয়। তাঁরাই থ্রেট কালচারের শিকার বলেও দাবি করেন।

সৌরভ দাস নামে অন্য এক ইন্টার্নের কথায়, ‘আমরা বলেছি রাজনৈতিক দল থাকবে না, রাজনীতির রঙ থাকবে না। এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করব। তাই ১৪ অগস্ট আমরা সকলে পথে নামি। তবে ধীরে ধীরে আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরে যায়। কেউ কেউ বকলমে স্বাস্থ্যভবন চালানোর জন্য বা বকলমে কলেজ প্রশাসন চালানোর জন্য, কমিটিতে জায়গা পেতে আন্দোলেন মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। মানুষও তাই ধীরে ধীরে সরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে একটা অরাজনৈতিক স্বচ্ছ অ্যাসোসিয়েশনের দরকার আছে।’

সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে ৬ দফা প্রস্তাব
সৌরভ আরও দাবি করেন, এদিন তাঁদের মঞ্চে থাকা সকলেই থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত নন। তাঁরা রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকেই এসেছেন। সৌরভ দাস বলেন, ‘আমরাই থ্রেট কালচারের শিকার। দাবি ছিল, ন্যায় বিচার। হঠাৎ দেখি কিছু উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকের জন্য আন্দোলনের মুখটাই ঘুরে গেল। হঠাৎ দেখা গেল যাঁদের পছন্দ নয়, মত মিলছে না, প্রত্যেক কলেজে একটা লিস্ট তৈরি করে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

যদিও আরজি করের গণ কনভেশন মঞ্চ থেকে ডব্লুবিজেডিএফ-এর অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যারা বলছেন, আরজি করে আরেকটা থ্রেট কালচারের জন্ম হচ্ছে। তাদের বলতে চাই, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যদি থ্রেট কালচার আবার জন্ম নিত, এত সাধারণ মানুষ একত্রিত হতে পারত না। সত্যি যদি থ্রেট কালচারের আবার জন্ম হতো, তাহলে যে অ্যাসোসিয়েশনের কথা শুনতে পাচ্ছি, তারা যে কথাবার্তা বলার সুযোগ পাচ্ছে তা বলার সুযোগ পেত না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *