স্কুল পড়ুয়াকে দিয়ে জুতো পরিষ্কার করানোর অভিযোগ উঠল এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি নিয়ে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রতিনিধিরা, পুলিশ ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস প্রশাসনের।জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে হিলি এলাকার লস্করপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ত্রিনয়নী সাহা কুণ্ডু স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে নিজের জুতো পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু থাকেন। ব্যাহত হয় স্কুলের পঠনপাঠন। অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
শিশুটির এক অভিভাবক মেহবুবা খাতুন জানান, বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করে খেলা করছিল। এর মাঝেই শিক্ষিকার গায়ে পা লেগে যায় বা হয়তো ভুলবশত জুতো মারিয়ে দিয়েছে। এরপরেই বাচ্চাটি দিয়ে জুতো পরিষ্কার করান ওই শিক্ষিকা। ওইটুকু বাচ্চাকে দিয়ে এরকম করা যায়? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শিশুটির এক অভিভাবক মেহবুবা খাতুন জানান, বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করে খেলা করছিল। এর মাঝেই শিক্ষিকার গায়ে পা লেগে যায় বা হয়তো ভুলবশত জুতো মারিয়ে দিয়েছে। এরপরেই বাচ্চাটি দিয়ে জুতো পরিষ্কার করান ওই শিক্ষিকা। ওইটুকু বাচ্চাকে দিয়ে এরকম করা যায়? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা বলেন, ‘ছাত্রীটির জুতোয় নোংরা লেগেছিল। আমার জুতো মারিয়ে দেওয়ায় আমার জুতোতেও নোংরা লেগে যায়। সেই জন্যে বলেছিলাম, তোর জুতোটা যখন ধুয়ে আনবি, আমার জুতোটাও ধুয়ে দিস। সাধারণভাবেই বলেছিলাম। এর বেশি কিছু বলিনি।’
অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেন বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রতিনিধি, হিলি থানার পুলিশ ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। এরকম ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, ‘এসআই-র কাছ থেকে গোটা ঘটনা শুনেছি। সোমবার স্কুল খুললে অভিযুক্তদের শো-কজ করা হবে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’