২০১৫ সালের পরে রাজ্যের পুরসভাগুলোয় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠালেন নগরোন্নয়ন দপ্তরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার। পুরসভাগুলোকে চিঠিতে সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, ওই নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চেয়ে তাঁদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার ২৫ তারিখের মধ্যে ওই নিয়োগের উত্তর তৈরি করে সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (সদর দপ্তর)-এর কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, গত ২২ অক্টোবর আসানসোল, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুরসভাগুলোর এমইডি (মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট)-র এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩-এ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই।
তারই প্রেক্ষিতে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের এমইডি (মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট)-র প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি তথ্য জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মনে করা হচ্ছে, সেই চিঠির ভিত্তিতেই আসানসোল সমেত সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলোর কাছে তথ্য তলব করা হয়েছে।
যে বিষয়গুলো পুরসভার এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠাতে বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ২০১৫ সালের পর থেকে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে এমইডি কোন পদ্ধতি এবং কী ভূমিকা পালন করেছে। পুরসভা ধরে ওই পদে নিয়োগের তালিকা দিতে হবে। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুরসভা এমইডি-র কাছে কোনও টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স চেয়েছিল কি না?
পুরসভা থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাব দিয়ে এমইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল কিনা। যদি তা হয়ে থাকে তা হলে সেই চিঠিগুলোর কপি জমা দিতে হবে পুরসভাকে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে পুরসভা ও এমইডি-র মধ্যে যত চিঠি বা মেলের আদান-প্রদান হয়েছে তার কপিও দিতে হবে। ২০১৫-র পর থেকে এমইডি-র যে আধিকারিকরা এই কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁদের নাম, পদে এবং ফোন নম্বর জানাতে হবে। এমন আরও কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
আসানসোল পুরসভার আইন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এক আইনজীবী বলেন, ‘আমি শুনেছি কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সম্ভবত সেই কারণে এই তথ্যগুলো চাওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে আমার কিছু জানা নেই। কারণ, পুরসভা এ বিষয়ে আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি।’ আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।