Firecracker Market,গুচ্ছ প্রশ্ন, আশঙ্কা নিয়েই কাল শুরু হচ্ছে বাজির বাজার – firecracker market is starting from monday


এই সময়: সবুজ চেনার উপায় নেই, তাই বিশ্বাসেই ভরসা। পরীক্ষাও করা যায়নি। ফলে কোভিডের সময়ের মতো বিনা পরীক্ষায় প্রত্যেকেই পাশ। শুরু হওয়ার কথা ছিল শনিবার থেকেই। তবে বাদ সেধেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। শেষ পর্যন্ত বহু প্রশ্ন নিয়েই সোমবার থেকে চালু হওয়ার পথে বাজি বাজার। যদিও কোনও বাজিরই পরীক্ষা হয়নি। তাই সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন আদৌ কি মানা হবে আসন্ন দীপাবলিতে? এই প্রশ্ন রয়েই গেল। তবে বাজি বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে বাজিগুলির চাহিদা সব থেকে বেশি, সেগুলি এই বছর সবুজ ভার্সনে মিলবে।এতে দূষণ অনেকটা কমবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে যেহেতু গ্রিন ক্র্যাকারের প্যাকেটে কিউআর কোড থাকছে না, তাই এই সুযোগকে হাতিয়ার করে বেআইনি বাজিতে বাজার ছেয়ে যাবে না তো? প্রশ্নটা থাকছেই। কারণ, বেআইনি বাজি কারখানা যে বন্ধ হয়নি, একাধিক বিস্ফোরণেই তার প্রমাণ মিলেছে। সব মিলিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন এবং বহু আশঙ্কাকে সঙ্গে নিয়েই এই দীপাবলি কাটবে বলেই মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা।

সোমবার থেকে শহিদ মিনারে মূল বাজি বাজারের পাশাপাশি, দক্ষিণ কলকাতার বেহালা, পূর্ব কলকাতার কালিকাপুর এবং উত্তর কলকাতার টালা পার্কে বাজি বাজার শুরু হবে। টালা পার্ক বাজি বাজারের সভাপতি শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘শনিবার থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল বাজারের। তবে প্রবল বৃষ্টিতে মাঠে জল জমে গিয়েছে। এই অবস্থায় বাজি বাজার শুরু করা সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি, সোমবার থেকে যাতে ওই বাজার শুরু করা যায়।’ গত বুধবার টালা পার্কে বাজি পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ছিল। তবে সে দিন তা করা যায়নি। পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, আবহাওয়া খারাপ ছিল ঠিকই। তবে বাজি পরীক্ষা করার কথা যাঁদের, পুলিশ ছাড়া অন্য কোনও সংস্থার প্রতিনিধিই আসেনি। ফলে পরীক্ষা ছাড়াই দেদার বাজি বিক্রি হবে।

বাজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এই বছর প্রায় ১৫০ রকমের বাজি ওই বাজারগুলি থেকে বিক্রি হবে। সব থেকে বেশি দূষণের জন্য যে বাজিগুলি দায়ী, এই বছর সেই বাজিগুলির সবুজ ভার্সন বাজারে এসেছে। মূলত চড়কি, ফুলঝুড়ি, তারাবাজি, তুবড়ি থেকেই সবচেয়ে বেশি দূষণ ছড়ায়। এই বাজিগুলি সবুজ হলে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমবে—এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ‘শটস’ বাজিও মিলবে সবুজরূপে। কিন্তু পরিবেশকর্মীদের আশঙ্কা অন্য।

কারণ, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রমরমিয়ে চলছে। গত এক বছরে অন্তত চারটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরিবেশকর্মী নব দত্তের প্রশ্ন, ‘যে সব কারখানায় বিস্ফোরণ হয়নি, সেগুলির বাজি কোথায় বিক্রি হবে? কারণ, এর আগে বেআইনি বাজির প্যাকেটে ভুয়ো কিউআর কোড লাগিয়ে রমরমিয়ে বিক্রি হয়েছে। তাতে দূষণ লাগাম ছাড়িয়েছে।’

কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘বাজির উপর আমাদের কড়া নজরদারি থাকবে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে প্রত্যেকের বক্তব্য শুনেছি। অতীতে যে ভুল হয়েছে, সেগুলি থেকে আমরা শিক্ষা নিই। ফলে বাজি ফাটানো নিয়ে যাতে কোনও গোলমাল না হয়, তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *