Jaldapara National Park,পশুদের গতিবিধি নজরে রাখতে ড্রোনের ব্যবহার জলদাপাড়ায়, কী দেখা গেল? দেখুন ভিডিয়ো – jaldapara national park animals movement surveillance by micro drone camera


ডুয়ার্সের জঙ্গলে পশুদের উপর নজর রাখতে ড্রোন ব্যবহার করছে বন দপ্তর। বিশেষ মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরে রাখা হচ্ছে পশুদের গতিবিধি। চোরাচালান রুখতেও এই ড্রোনের নজরদারি অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছে বন দপ্তর।’মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা’র মাধ্যমে জঙ্গলের কোণায় কোণায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। আপাতত চারটি আধুনিক প্রযুক্তির মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে এখানে। তবে, কেন ড্রোনের পরিবর্তে ‘মাইক্রো ড্রোন’-এর উপর ভরসা করা হচ্ছে?

জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন ‘ড্রোন ক্যামেরা পরিচালনার পদ্ধতি যেমন জটিল, অন্যদিকে ওই ক্যামেরা চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ অনুমতির দরকার হয়। যা জোগাড় করতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। সঙ্গে ড্রোনের তুলনায় মাইক্রো ড্রোনের পারফেকশন অনেক বেশি।’


তাঁর দাবি, জঙ্গলের দুর্গম এলাকাগুলিতে খুব সহজেই উড়ে যেতে পারে এই মাইক্রো ড্রোন। আর মাইক্রো ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে, চোরাশিকারিরাও তো ওই মাইক্রো ড্রোন ব্যবহার করে সহজেই বন্য প্রাণীদের গোপন ডেরার হদিশ ছকে নিতে পারে।

ডিএফও বলেন, ‘চোরাশিকারিদের অবস্থান ও গতিবিধি জানাও তো আমাদের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সেই কাজেও আমাদের বিশ্বস্ত হাতিয়ার মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরা।’ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ২১৬.৫১ বর্গ কিলোমিটারের জঙ্গলে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করা হচ্ছে ওই মাইক্রো ড্রোন মনিটরিংয়ের কাজ। দিনের শেষে জঙ্গলের ঠিক কোন কোন অংশে কতগুলো ও কোন কোন প্রজাতির বন্যপ্রাণী অবস্থান করছে তার হিসেব মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে ওই ড্রোন ক্যামেরার ভিডিয়ো ও ইমেজ বিশ্লেষণ করে।

জয়গাঁর গণধর্ষণ-খুনে টাইমলাইনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তদন্তকারীরা
প্রতি রাতে ওই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভাগীয় বন আধিকারিকের কাছে। যদি কোনও সন্দেহভাজনের আনাগোনা ধরা পড়ে, সঙ্গে সঙ্গেই ওই সুনির্দিষ্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে বনরক্ষী ও কুনকি হাতির মাধ্যমে। শুধু এই উৎসবের মরসুমকে কেন এতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? ডিএফও বলেন ‘বন দপ্তরের কর্মী হলেও, আমরা তো মানুষ। আমাদেরও উৎসবে মাতোয়ারা হতে ইচ্ছে করতেই পারে। আর তা যে কোনও মুহূর্তে বন্য প্রাণীদদের বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই কোনওভাবেই যাতে আমাদের মধ্যে গাফিলতি অথবা আলগা মনোভাব না আসে, সেই কারণেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিটি বন কর্মীকে সজাগ রাখা হয়। যেখানে খামতির কোনও প্রশ্নই থাকবে না।’

তথ্য সহায়তায় : পিনাকী চক্রবর্তী



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *