নোয়াপাড়া থেকে যশোহর রোড হয়ে দমদম ক্যান্টনমেন্ট — মেট্রোর ইয়েলো লাইনের এই অংশ কিছুদিন আগেই যাত্রী পরিবহণের অনুমোদন পায় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) দপ্তর থেকে। তবে এই তিন স্টেশনের মধ্যে ট্রেন চলাচল সীমিত থাকলে সংস্থার পক্ষে সেটা তেমন লাভজনক হবে না বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। বরং দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে লাইনটিকে আরও সম্প্রসারিত করলে নোয়াপাড়া-বারাসত পর্যন্ত অংশে দিনে ৩০-৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন বলে প্রাথমিক ভাবে হিসেব কষা হয়েছে।
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই বিভিন্ন লাইন মিলিয়ে মেট্রোর বিস্তার ৯০ কিলোমিটার হবে বলে আশা করছেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি। বর্তমানে তা ৬০ কিলোমিটার। রেড্ডি কোনও নির্দিষ্ট অংশ চালু হওয়ার কথা বলেননি। তবে সপ্তাহখানেক আগে নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত অংশে রেকে এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিমানবন্দর অংশে ট্র্যাক বরাবর ট্রলিতে ইনস্পেকশন করেন তিনি।
এই পরিদর্শনই ইয়েলো লাইন দ্রুত চালু হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রলি ইনস্পেকশন করা হলো এই প্রথম। মেট্রো সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই নোয়াপাড়া টু এয়ারপোর্ট যাত্রী পরিবহণের উপযুক্ত করে তোলার চেষ্টা চলছে।
মেট্রোর প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, এই অংশে যাত্রী পরিবহণ শুরু হলে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলি থেকে এয়ারপোর্ট যেতেও অনেক সুবিধে হবে। সে ক্ষেত্রে ব্লু-লাইন ধরে যাত্রীরা নোয়াপাড়ায় নেমে ট্রেন বদলে বিমানবন্দরগামী মেট্রোয় উঠলেই এড়াতে পারবেন ভিআইপি রোডের যানজট।