একেও বলতে হবে বাবা! নিজের ৫ বছরের মেয়েকেই গলা টিপে…| father kills his 5 year old girl in raiganj west bengal


ভবানন্দ সিংহ: ব্যারাকপুরের ছায়া এবার রায়গঞ্জে। নিজের শিশু কণ্যাকে খুন করলেন বাবা। ঘটনায় চাঞ্চল্য রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে। ইতিমধ্যেই ওই শিশু কন্যার বাবাকে আটক করেছে পুলিস। মৃত শিশুক্ণ্যার নাম অদিতি সেন, বয়স ৫ বছর। আটক ওই বাবার নাম অরূপ ওরফে তনু সেন। তনু সেন রায়গঞ্জের সুপরিচিত ব্যবসায়ী।
  
পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে আচমকাই ওই শিশু কন্যার অচেতন দেহ নিয়ে তনু সেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগে যায়। মেডিক্যালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তনু তার কন্যা সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে বেড়িয়ে যেতে গেলে চিকিৎসকরা ও মেডিক্যালের কর্মীরা বাধা দেন। কর্তব্যরত পুলিস পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিস। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। 

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু সময় জিজ্ঞাসাবাদের পরেই ভেঙে পড়েন ওই শিশু কণ্যার বাবা। তিনি স্বীকার করেন তিনিই তার শিশু কন্যাকে শ্বাস রোধ করে খুন করেন। তার পরিকল্পনা ছিল নিজের কন্যা সন্তানকে খুন করে তিনি নিজেও আত্মঘাতী হবেন। এই খুনের কারণ হিসাবে অভিযুক্ত বাবা পুলিসকে জানিয়েছেন কিছুদিন থেকেই তার মনে হচ্ছিল তিনি মরে গেলে তার প্রিয় শিশু কন্যাকে কেউ সঠিক ভাবে দেখভাল করবে না। সেই ভয় থেকেই তিনি তার শিশু কন্যাকে খুন করেছেন। 
তদন্তের স্বার্থে পুলিসের তরফে এর থেকে বেশী তথ্য জানানো হয়নি।  

আরও পড়ুন:Tanmoy Bhattacharya: ‘মেয়েটা তো হাসতে হাসতেই আমার বাড়ি থেকে বেরল’, শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গে তন্ময়…

রায়গঞ্জ জেলার পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি নিজের শিশু কন্যাকে খুনের কথা পুলিসের কাছে স্বীকার করেছেন। আমরা তাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছি। ঘটনার সব রকম দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ব্য়ারাকপুরেও এই ধরণের হাড়হিম ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, নিজের মেয়েকে মেরে ঘরের মধ্যেই বসেছিলেন মা কবিতা ঘোষ। ঘটনাটি ঘটে, ব্যারাকপুরের পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে ডি রোডের বাড়ি কিনে এসে ছিল ইন্দ্রজিত্‍ ঘোষ। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। গতকাল রাতে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঘরের ভিতরে বসে ছিলেন মা। ১২ বছরের মেয়ে রাজন্যা ঘোষকে নিয়ে চিন্তায় থাকতেন মা। 

জানা গিয়েছে, রাত থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘর বন্ধ করে দিয়েছে মা। অনেক ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও ঘর খোলেনি মা। প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও দরজা খোলেনি মা। তারপর বাধ্য হয়ে পুলিসকে ডাকা হয়। তারপর দরজা খুলে দেখতে পায় বিছানায় শুয়ে আছে মেয়ে। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে মা। বাবা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বুঝতে পারে যে অনেকক্ষণ আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। বাবা ইন্দ্রজিত্‍ জানিয়েছে, তাঁর স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে। স্ত্রী বরাবরই মেয়েকে চিন্তায় থাকতেন। ভাবতেন যে, মেয়ে বড় হচ্ছে। তার উপর বাইরের লোক অত্যাচার করবে। এইসব ভেবেই ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন তাঁর স্ত্রী।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *