সন্ধে হলেই ‘নটসূর্য’ অহীন্দ্র চৌধুরীর বাড়ি যেন আতঙ্ক! ভেসে আসে ভয়জাগানো ভূতুড়ে সব শব্দ… ।village home of actor director theatre personality natasurya Ahindra Choudhury became a haunted house people fearing


বিশ্বজিৎ মিত্র: অহীন্দ্র চৌধুরী। নটসূর্য অহীন্দ্র চৌধুরী। ১৮৯৬ সালে জন্ম। ১৯২০ থেকেই চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। মূলত থিয়েটার পার্সোনালিটি। অসংখ্য ছবিতেও অভিনয় করেছেন। মহানায়ক উত্তমকুমারও তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকে অভিনয় করেছেন অহীন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে। সত্তরের দশকে মৃত্যু।

আরও পড়ুন: Jagaddhatri Puja 2024: জেনে নিন জগদ্ধাত্রীপুজোর দিন-তিথি; কবে অষ্টমী, কবে দশমী এবার?

মূলত গত সহস্রাব্দের ৩০ ও ৪০-এর দশকের অভিনেতা ছিলেন অহীন্দ্র চৌধুরী। নামজাদা অভিনেতা। যাকে বলে ডাকসাইটে অভিনেতা। চলচ্চিত্র, নাটক সবেতেই তিনি যা অভিনয় করে গিয়েছেন, তাতে তাঁকে অনায়াসে সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের একজন বলা চলে। নাট্যকার মন্মথ রায় তাঁকে নটসূর্য আখ্যায় ভূষিত করেছিলেন। 

এহেন প্রতিভাবান অভিনেতার বাড়ি নদীয়ায়। শান্তিপুরের বাগআঁচারা গ্রামে। বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন অহীন্দ্র। তবে তাঁদের আদি নিবাস ছিল হাঁসখালি যাওয়ার পথে তেঘরিয়া গ্রাম। পরে সেখান থেকে চলে আসেন শান্তিপুরের বাগআঁচারা গ্রামে। এখানে মস্ত দালানকোঠাওয়ালা বাড়ি, চারিদিকে গাছ-গাছালিতে মোড়া। সেই সময়ের অভিজাত পরিবার– দেখলেই বোঝা যায়।

থিয়েটার-পাগল অহীন্দ্রের বিরল অভিনয় প্রতিভার ছাপ ধরা পড়েছে ‘বিল্বমঙ্গল’, ‘আলিবাবা’, ‘পঞ্চপাণ্ডব’ এবং ‘শাজাহান’ নাটকে। অসামান্য অভিনয় করবার ফলে অল্প সময়েই তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। 

কিন্তু এমন সৃষ্টিশীল স্মরণীয় মানুষটির গ্রামের বাড়ি আজ যেন পোড়ে বাড়িতে পর্যবসিত! যেন হানাবাড়ি। বাড়িটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করা হয়েছিল। সেখানে সকালবেলায় স্কুল চলে। তবে সন্ধে হলেই ঘন আঁধারে ডুবে যায় বাড়ি ও সংলগ্ন চত্বর। সেখান থেকে বিভিন্ন রকমের ভৌতিক আওয়াজ বেরিয়ে আসে। গা ছমছমে একটা পরিবেশ।  দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে বাড়িটি। 

আরও পড়ুন: US President Election 2024: আমেরিকার ভোটে কেন বাংলায় ছাপা হচ্ছে ব্যালট? জানুন আসল রহস্য…

গ্রামবাসীরা ৩০ বছর আগে শেষবারের মতো এ বাড়িতে কাউকে দেখেছিলেন। তিনি ছিলেন মহেন্দ্র চৌধুরী। তারপর এখানে কেউ আর সেভাবে কখনও আসেননি বলে দাবি তাঁদের। এবং গ্রামবাসীদের অনেকেরই দাবি, এ বাড়িতে রয়েছে ভূত। এই যে নানা আওয়াজ বেরিয়ে আসে, সেসব ওই ভূতেরই উপদ্রব। গ্রামের মানুষজনের কেউ কেউ ভূতে বিশ্বাস না করলেও তাঁদের অনেকেই অশরীরী আত্মায় বিশ্বাস করেন। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *