জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আলুর বাজার অগ্নিমূল্য। আলু কিনতে গিয়ে পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার আলুর দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা দাম বেঁধে দিয়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্তের দাবি সরকার যেখানে নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিয়েছে তাসত্ত্বেও তাদেরকে ৩২ টাকা, ৩৩ টাকা কিলো প্রতি আলু কিনতে হচ্ছে। সরকারের উচিত প্রতিটি বাজারে হানা দিয়ে আলুর ঊর্ধ্বমুখী দামকে নিম্নমুখী করা।
একই চিত্র দেখা গেল বর্ধমানের রাণিগঞ্জবাজার, স্টেশন বাজার, রথতলা, কালনা গেট বা পুলিস লাইনে। বর্ধমান পুলিস লাইন খুচরো বাজারে আলুর দাম কম করে ৩২ টাকা। ৩৩, ৩৪ এমনকি ৩৫ টাকাতেও আলু বিক্রি হচ্ছে। এটা জ্যোতি আলুর দাম। চন্দ্রমুখী আরও অনেক বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, যেমন কেনা তেমন বিক্রি। কম করে ১৪৫০ টাকা কিনছেন তারা বস্তা পিছু। পরিবহন ৫০ টাকা। আরও বেশি দামেও কিনেছেন কেউ কেউ। এর সঙ্গে প্রচুর আলু নষ্ট বেরোচ্ছে। ৩২ এর নিচে কী করেই বা দেওয়া সম্ভব? ক্রেতারা বলছেন, এখনও দাম নামে নি।ঘোষণা আর বাস্তবের ফারাক আছে। মুখের কথা নয়,কাজের কাজ চান তারা।
আরও পড়ুন:Durgapur: ভয়ংকর! ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে সেতু থেকে ঝুলছে ট্রেলার ট্রাক…
উল্লেখ্য, আলুর চড়া দামের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন বৈঠকে কড়া নির্দেশ দেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিচুতলার পুলিসকর্মীদের নিশানা করে বলেন, ‘বাংলার আলু কেন বাইরে চলে যাচ্ছে’? বললেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। ৫ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয় চোর। কিন্তু নিচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী, যাঁরা এই সরকারকে ভালোবাসে না। এবং পুলিসেরও কিছু লোক’। সঙ্গে নির্দেশ, ‘সীমানা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার নিয়ন্ত্রণ কর। তার আগে স্টক আমাকে দেখাবে। কত ছিল, কত বেরিয়েছে, এখন কত আছে’। এরপরই তড়িঘড়ি নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডাকেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিনরাজ্য আলু রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় টাস্ক ফোর্স। শুধু তাই নয়, মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে পুলিসের সাহায্যে অভিযানও জারি থাকবে। কিন্তু সেই নির্দেশ কি আদৌ মানা হচ্ছে?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)