শীতের অকাল বৃষ্টিতে চিন্তিত কৃষকেরা! মাঠের ফসল ঘরে উঠবে তো? untimely Rain in Winter farmers anxious lest harvest hampered corps being spoilt


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শীতের শুরুতে বৃষ্টি, নষ্ট হতে পারে মাঠে রোপণ করা আলু বীজ, পিছিয়েও যেতে পারে আলুচাষ। কপালে ভাঁজ কৃষকদের। এমনই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ছবিটা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার অঞ্চলেও প্রায় একই রকম। গতকাল, শুক্রবার সকাল থেকেই এই অঞ্চলে আকাশ মেঘলা, সঙ্গে অল্প বৃষ্টিও। চাষিরা মনে করছেন, এখন বৃষ্টি হলে জমির প্রায় সব ধানই নষ্ট হয়ে যাবে। অনেকেই তাই তড়িঘড়ি মাঠের ধান বাড়ির উঠোনে তুলতে ব্যস্ত। একই ছবি এই জেলার ক্যানিংয়ে। ফের প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় ফসলের ক্ষতি নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত চাষিরা। বেশিরভাগ জায়গা এখনও মাঠেই ধান পড়ে আছে। ক্যানিং বাসন্তী গোসাবা ঝড়খালি ভাঙড় ক্যানিং পূর্ব এলাকায় কোথাও ধান কাটা অবস্থায় পড়ে আছে, কোথাও ধান কাটার মুখে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কায় বিমর্ষ চাষিরা। 

আরও পড়ুন: Fire At Varanasi: ভয়ংকর! দাউ দাউ আগুন মন্দিরনগরী বারাণসীতে! পুড়ল একের পর এক…

পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোর রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যে কারণে সদ্য রোপণ করা আলু নষ্ট হতে পারে, পাশাপাশি পিছিয়ে যেতে পারে আলু চাষ এমনই আশঙ্কা কৃষকদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা আলু চাষের গড় হিসেবে পরিচিত। এই সময় কৃষকেরা সদ্য মাঠ থেকে ধান তুলে আলু লাগিয়েছেন। কোন কোন কৃষক আবার মাটি উর্বর করছেন আলু লাগানোর জন্য। কিন্ত এই বৃষ্টিতে মাথায় হাত কৃষকদের। এরকমভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে মাঠে সদ্য লাগানো আলু নষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি আলু চাষও পিছিয়ে যেতে পারে এমনই আশঙ্কা চন্দ্রকোনার কৃষকদের।

শীতের অকাল বৃষ্টি চিন্তিত  দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এলাকার ধানচাষিরা। কিছু দিন আগে ডানা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চাষিরা। তবে বেশ কিছু জমির ধান তখনও সুরক্ষিত ছিল। এবার সেই ধানেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। শুক্রবার সকাল থেকেই এই অঞ্চলে আকাশ মেঘলা ছিল। বৃষ্টিও হচ্ছিল। চাষিদের অভিমত, এখন বৃষ্টি হলে জমির প্রায় সব ধানই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তড়িঘড়ি মাঠের ধান বাড়ির উঠোনে তুলতে ব্যস্ত চাষিরা। কিন্তু জমির সব ধান বাড়ির উঠোনে তোলা যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এখন গভীর সংকট। তাই যে যেমন পারছেন, ধান রক্ষার জন্য নামখানা কাকদ্বীপ কুলপি রায়দিঘি এলাকায় নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্ষেতে গিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করছে ধান তোলার। বৃষ্টিতে যাতে আর বেশি ক্ষতি না হয় সেজন্য সকাল থেকে দিনরাত চাষিরা খাটছেন।

আরও পড়ুন: Gangasagar Kapil Muni Ashram: ভয়াবহ! বঙ্গোপসাগর ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে কপিলমুনির আশ্রম! কী হবে সাগরদ্বীপের?
 
পর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগে চাষে ক্ষতি হয়েছিল দাবি ক্যানিং অঞ্চলের ধানচাষিদের। জমি থেকে ধান তোলার মুখে এবার আবার বৃষ্টির আশঙ্কা। এতে ফের ক্ষতি হতে পারে বিঘা বিঘা জমির ধানের। ক্য়ানিংয়ের প্রায় সব জায়গা এখন মাঠেই ধান পড়ে। ক্যানিং বাসন্তী গোসাবা ঝড়খালি ভাঙ্গড় ক্যানিং পূর্ব এলাকায় কোথাও ধান কাটা অবস্থায় পড়ে আছে, কোথাও ধান কাটার মুখে। সেই মুহূর্তে বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা। চাষিরা তাই তড়িঘড়ি মাঠ থেকে ধান তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাইরে কাজের লোক না পেয়ে অনেকেই নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়েই মাঠে ধান তোলার কাজে নেমে পড়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলনের অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ধান জমি থেকে তুলে নিয়ে আসতে পারছেন না তাঁরা। মহাজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন বেশিরভাগ চাষিরা। সেই ধান পরিমাণমতো না হওয়ায় তাঁরা সমূহ ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানাচ্ছেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *