হাত-পায়ে দড়ি বাঁধা! সন্দেশখালিতে পুকুর থেকে উদ্ধার তরুণীর দেহ…| the body of the young girl was recovered from the pond with her hands and feet tied with ropes in sandeshkhali


বিমল বসু: চারদিন ধরে নিখোঁজ। থানার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। আজ সকালে পুকুর থেকে হাত-পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের ন্যাজাট থানার ঘোষপুর এলাকায়। মৃত তরুণীর পরিবারের দাবি, তরুণীকে অপহরণ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল সে বিষয়টি দেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। ন্যাজাট থানার পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

মৃত তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বিকালে ঘোষপুর এলাকায় একটি বাগান বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ঘোষপুরের বাসিন্দা শরমা মুণ্ডা(১৮)। পরিবারের তরফ থেকে ঘটনার দিন ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শনিবার সকালে বাগান বাড়ির পাশেই একটি পুকুরে তরুণীর হাত-পা বাঁধা দেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় থানার পুলিসে। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঠিক কি কারনে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

আরও পড়ুন:UP Shocker: পরপুরুষের সঙ্গে বিছানায় অন্তরঙ্গ স্ত্রী! ঘরে ঢুকে স্বামী রাগে কুড়ুল দিয়ে…

উল্লেখ্য, জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে নজিরবিহীন রায়। ঘটনার দুমাসের মাথায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা। দোষী মুস্তাকিন সর্দারের ফাঁসির সাজা।  সরকারী আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় তিনি মামলা শেষে জানান, ‘মোট তিনটি মামলায় কেস রুজু করা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে পক্সো অ্যাক্ট, মার্ডার কেস, রেপ এবং মার্ডার। এই তিনটি মামলায় কেস রুজু হয়। এদিন তাকে ডেথ সেন্টেন্স দেওয়া হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল থেকে ফেরার সময় মেয়েটির বাবা বলেছিল তুমি আসতে আসতে সাইড দিয়ে হেঁটে চলে এসো। সেই একা হওয়ার সুযোগ তুলেছিল অভিযুক্ত। সেই সময় সাইকেলে চাপতে বলে মেয়েটিকে। সেখানে অভিযুক্ত বলে আমি তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেব। সাইকেলে তোলার মুহূর্তে দুজন সাক্ষী ছিলেন। তাঁরা দেখেন বাচ্চাটিকে সাইকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল’।

সাইকেলে তোলার সময় বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে তখন বলেছিল মেয়েটির বাবা তাকে নাকি জানিয়েছিল বাচ্চাটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। সেই মতন সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার করে শিশুটির উপর। শুধু ধর্ষণ নয় মেরে ফেলে বাচ্চাটিকে। পাশাপাশি শিশুটির শরীরে মোট ৩৮টি ক্ষত ছিল। কাজ শেষে ভারি কিছুর সাহায্যে মাথা থেতলে মেরে ফেলা হয়। 

আরও পড়ুন:Public Transport: দুর্ঘটনার জের! গণপরিবহণ সংগঠনের কাছে কড়া নির্দেশিকা, না মানলেই…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *