সুদূর আমাজনের মাংসখেকো ‘সূর্যশিশির’ বাঁকুড়ার সোনামুখীর জঙ্গলে কী ভাবে? কেন এই ভয়ংকর…unknown unrecognised Carnivorous plant found in Bankura Sonamukhi Jangal


মৃত্যুঞ্জয় দাস: সোনামুখীর জঙ্গলে দেখা মিলল পতঙ্গভূক এক উদ্ভিদের! আমাজনের জঙ্গলেই দেখা মেলে ‘সানডিউ’ বা বাংলায় ‘সূর্যশিশির’। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘ড্রসেরা বার্মানি’। এটি এক ধরনের মাংসভূক উদ্ভিদ। এরা মূলত জঙ্গলঘেরা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় জন্মায়। এরা কীট-পতঙ্গকে ‘ট্যাপ’ করে বা ধরে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসংগ্রহ করে থাকে। 

আরও পড়ুন: Metro Service to Chuchura: ক্রিসমাসের উপহার? এবার সেন্ট্রাল থেকে চেপেই সোজা পৌঁছবেন চুঁচুড়া-চন্দনগর-ব্যারাকপুর…

স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে সোনামুখী রেঞ্জের বড় নারায়ণপুর মৌজার গভীর জঙ্গলে এই উদ্ভিদের সন্ধান মেলে। জঙ্গলে যাওয়া মানুষজন প্রথম এই বিষয়টি দেখার পর খবর দেন স্থানীয় বন দফতরে। পরে বনাধিকারিকরা ওই জায়গায় পৌঁছে এই উদ্ভিদটিকে শনাক্ত করেন ও এর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

বাঁকুড়ার অরণ্য প্রকৃতির দিক থেকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় শুষ্ক পর্ণমোচী গোত্রের। ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি-শাল-শিমুল-মহুয়া-কেন্দুতে ভরা বাঁকুড়ার জঙ্গলভূমি। এর পাশাপাশি এই অরণ্যাঞ্চলে রয়েছে নানা ধরনের তৃণ ও গুল্মও। রয়েছে ওষধিগুণসম্পন্ন নানা উদ্ভিদও।

আরও পড়ুন: Liquor Price Drop: ‘উল্লাস’ বলে লাফিয়ে উঠল সুরাপায়ীদের তৃষিত হৃদয়! বড়দিনের আবহে দাম কমছে মদের! কতটা?

এই সূর্যশিশির মাংসাশী উদ্ভিদ বলে এরা বড় বড় উইপোকা, পিঁপড়েরা এদের সংস্পর্শে এলেই এদের কব্জা করে নেয়। এরপর তাদের কার্যত গলিয়ে নির্যাস বের করে নিয়ে খাদ্য সংশ্লেষ করে। এ কারণেই এদের মাংসাশী উদ্ভিদ বলে। মূলত স্যাঁতসেঁতে ঢেউখেলানো জমিতে এই গাছগুলিকে দেখা যায়। এই উদ্ভিদ আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কাজেও লাগে। এদের পুড়িয়ে দিলে যে ছাই উৎপন্ন হয় তাকে স্বর্ণভস্ম বলা হয়। আমাজনের জঙ্গলে এই উদ্ভিদ প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। রাঢ়বঙ্গের জঙ্গলে ডিসেম্বর মাসে দেখতে পাওয়াটা একরকম বিরল ঘটনাই বলা চলে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *