প্রায় ৩ দিন ধরে নিখোঁজ! নদীর চরে মিলল সিভিক ভলান্টিয়ারের নিথর দেহ…| after about 62 hours the body of the missing civic volunteer body was recovered


তথাগত চক্রবর্তী: অবশেষে প্রায় ৬২ ঘন্টা পর উদ্ধার হল মাতলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া পর্যটক প্রীতম পানুয়ার দেহ। রবিবার সকাল সাড়ে ছটার সময় গোপালগঞ্জের নবিপুকুর নদীর ধারে চরে দেখা গেল নিখোঁজ পর্যটক প্রীতম পানুয়ার দেহ। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কুলতলি ব্লকের কৈখালী জেটিঘাটের পাশেই মাতলা নদীতে বোট থেকে পড়ে গিয়েছিল সুন্দরবনে পিকনিক করতে আসা পর্যটক প্রীতম পানুয়া। বৃহস্পতিবার সকালেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুর থেকে ১১ জনের দল গিয়েছিল সুন্দরবনে পিকনিক করতে। বিকেলে কৈখালী জেটিঘাটের পাশে বোট থেকে পড়ে যায় প্রীতম। পেশায় কলকাতা পুলিসের সিভিক ভলেন্টিয়ার গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিল। দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই কুলতলী থানার পুলিস ও সিভিল ডিফেন্স তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

অবশেষে ৬২ ঘণ্টা পরে নিখোঁজ পর্যটকের দেহ উদ্ধার হল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন চার কিলোমিটার দূর থেকে। আজ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠাবে কুলতলি থানার পুলিস। প্রীতমের পরিবারকে খবর দিয়েছে কুলতলি থানার পুলিস।

আরও পড়ুন:Bengal Weather Update: ঘন গাঢ় কুয়াশায় ঢাকল বাংলা! দৃশ্যমানতা নামল ৩০ মিটারের নীচে…

প্রসঙ্গত, অন্যদিকে ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের এক তরতাজা যুবকের, এলাকায় শোকের ছায়া। মণিপুরে কাজ করতে গিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের এক যুবকের মৃত্যু হল। শোকের ছায়া কুকুরজান অঞ্চলের পাকড়িতলা গ্রামে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা নিরানন্দ রায়ের ছেলে শুভঙ্কর রায় (২৪)। চারদিন আগেই মনিপুরে কাজ করতে গিয়েছিল। একটি সংস্থার অধীন সেখানে টানেল তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই যুবকের মাথার ওপর পাথর খসে পড়ে। তারপর যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। শনিবার যুবকের কফিনবন্দী দেহ এল গ্রামে। কান্নায় উত্তাল গোটা পাড়া।

নিহতের বাবা নিরানন্দ রায় বলেন, শুভঙ্কর ১৫ ডিসেম্বর মণিপুরে কাজ করতে গিয়েছিল। বুধবার রাতে শেষ বারের জন্য ভিডিয়ো কলে কথা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর আসে ছেলে আর নেই। সকালে টানালে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। পরিবারে বাবা-মা ছাড়াও বড় দাদা এবং এক বোন রয়েছে।
শুভঙ্করের এক সহকর্মী জানান, কাজ চলাকালীন ওপর থেকে একটি পাথর যুবকের পেছনে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত অমল রায় জানান, গ্রামের একটি ছেলে এভাবে চলে গেল ভীষণ দুঃখজনক ঘটনা সংস্থার পক্ষ থেকে পরিবারটিকে যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সেই দাবি জানাব।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *