সত্তর হাজার টাকায় সুপারি দেয় স্ত্রী ও তার প্রেমিক, হুগলির কানাগড়ে যুবক খুনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য| Hooghly police arrests 3 in Hooghly Kanagarh murder case


বিধান সরকার: গত বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাগড়ের ভাঙা মসজিদ এলাকায় খুন হন রমেশ মুদালিয়া নামে এক যুবক। পরদিন ভোরে প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে এক মহিলা দেখতে পান রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে একটি ফাঁকা জায়গায়। তারপর পুলিস খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল।

আরও পড়ুন-প্রায় ৩ দিন ধরে নিখোঁজ! নদীর চরে মিলল সিভিক ভলান্টিয়ারের নিথর দেহ…

যুবকের সৎ মা নাগরানী মুদালিয়া চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা মৃত যুবকের স্ত্রী সারদা মুদালিয়া ওরফে ভারতী ও শাশুড়ি ইন্দ্রা স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল তাদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে দশ দিনে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে,সারদার সঙ্গে ব্যান্ডেলের বিকাশ মেহালি নামে এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে রমেশ ও সারদার অশান্তি হত। আর তাতে মদত ছিল যুবকের শাশুড়ির।

সারদা ও বিকাশ পরিকল্পনা করে রমেশকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার। সেইমতো তিনজনকে তারা ভাড়া করে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। টাকা হাতে পাওয়ার পর পরিকল্পনাকে রূপ দেয় তারা। রমেশের ডাকনাম ছিল কালা জামুন। যোগাযোগ আছে বলে জামুনদাকে ডাকে বিকাশ। একসঙ্গে বসে মদ্যপান করে।তারপর  চপার  দিয়ে কুপিয়ে খুন করে।

পুলিস বিকাশ সহ তিন ভাড়াটে খুনি পরীক্ষিত সোম ওরফে বাপি, অভিষেক রাজভর ওরফে আশিষ, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করে। আজ চারজনকেই চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। পুলিস হেফাজতের আবেদন করে।

চন্দননগর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না রমেশ। তাই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হত। সেই স্ত্রী তার প্রেমিকের সঙ্গে যুক্তি করে যুবককে খুনের পরিকল্পনা করে। তার জন্য টাকা দিয়ে খুনিদের ভাড়া করে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *