Calcutta High Court: দাম্পত্য সম্পর্কে স্ত্রীর বন্ধুর অযাচিত হস্তক্ষেপ এক ধরনের নিষ্ঠুরতা, বিবাহবিচ্ছেদ পেলেন স্বামী


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দাম্পত্য সম্পর্কে নিষ্ঠুরতার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। সংসারে স্ত্রীর এক বন্ধুর মাথা গলানো এবং স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে দাম্পত্য় নিষ্ঠুরতাকেই বড় করে দেখলেন বিচারকরা।

আরও পড়ুন-সিরিয়া ছেড়ে আরও ভিখারি আসাদ, রাজ্য গিয়েছে এবার তাঁকে ছেড়ে যেতে চান স্ত্রীও

ওই মামলায় জেলা আদালত ওই ব্যক্তির পক্ষে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিতে অস্বীকার করে। সেই রায় বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। গত ১৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বলা হয়, স্ত্রী স্বামীর উপরে যথেষ্ট মানসিক নির্যাতন করতেন। এর স্বপক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এই প্রমাণ যথেষ্ট।

ওই মামলায় স্বামীর অভিযোগ, তাঁর কোলাঘাটের বাড়িতে টানা থাকতেন স্ত্রীর বন্ধু তার পরিবারের লোকজন। এনিয়ে তিনি স্ত্রীর কাছে বহু আপত্তি করেছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এনিয়ে বেঞ্চের তরফে বলা হয়, স্বামীর আপত্তি থাকা সত্বেও তাঁর বাড়িতে স্ত্রীর বন্ধুর দিনের পর দিন থাকা ও পরিবারের ওই বন্ধুর না গলানো স্বামীর উপরে এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। এটা মেনে নেওয়া কোনও স্বামীর পক্ষে অসম্ভব।

আদালতের রায়ে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে স্ত্রী একতরফাভাবে দাম্পত্য জীবন যাপন করতে অস্বীকার করেছেন, তারা বেশকিছু দিন পৃথকও থেকেছেন। এতে প্রমাণ হয় যে তাদের সম্পর্ক জোড়া লাগা অসম্ভব। স্বামীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, স্ত্রী তার বেশিরভাগ সময় দিতেন তাঁর বন্ধুকে। এটাও এক ধরনের মানসিক নির্যাতন।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ওই দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ডিভোর্সের মামলা ফাইল করেন স্বামী। এরপর ওই বছরই ২৭ অক্টোবর স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের একটি মামলা করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীর বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারায় মামলা রুজু হয়। কিন্তু আদালতে সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পান স্বামী।  

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *