বিষধর সাপের ছোবল! নিজের জেদেই প্রাণে বাঁচাল ছাত্রী…. Girl saves her own life after snake bite in Canning


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বিষধর সাপের ছোবল! নিজের জেদের জন্য় এবার প্রাণে বেঁচে গেল কিশোরী। তার এই কাজে ভুয়সী প্রশংসা করলেন চিকিত্‍সকরা। ক্য়ানিংয়ের ঘটনা।

আরও পড়ুন:  Sonarpur Dowry Death: সোনারপুরে ‘পণের বলি’ বধূ, বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই….

স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিংয়ের দিঘীরপাড় পঞ্চায়েতের কালিমন্দির সংলগ্ন এলাকার কার্তিক নস্কর ও তাঁর স্ত্রী উর্মিলা। ওই দম্পতির এক ছেলে আর এক মেয়ে। মেয়ে সোনালী স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল, বুধবার রাতে তার হাতে ছোবল মারে একটি বিষধর সাপ! মেয়েকে সাতমুখী বাজার সংলগ্ন খোলাখালি গ্রামে এক ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা।

এদিকে সোনালি নিজে কিন্তু হাসপাতালে যেতে চেয়েছিল। অভিযোগ, তাঁকে জোর করে ওঝাঁর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্ষতস্থান-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে কাটা হয়। সঙ্গে চলতে থাকে ঝাড়ফুঁক! মালিশ করা ও খাওয়ার জন্য তেলপড়া, জলপড়াও দেন ওঝা। দীর্ঘক্ষণ এই কাণ্ড চলার পর, শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় ওই কিশোরীর। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতিতে বেগতিক বুঝে, মেয়ের কথামতোই তাঁকে ক্য়ানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। 

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক  সমরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘চিকিৎসা চলছে।  সুস্থ হয়ে ওঠা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।  তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং জেদের জন্য  নিজের প্রাণ নিজেই বাঁচিয়েছে। কে কুর্ণিশ জানাই। তবে প্রশাসন কে অনুরোধ করবো এমন সব ওঝা-গুণীনের বাড়বাড়ন্ত যাতে কমে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য’। ওই ছাত্রীর দিদিমা জানান,  ‘প্রথম দিকে ওর কথা কেউই শোনেনি।একাধিকবার হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেছিল।তবে শেষপর্যন্ত ওর জেদই ওকে প্রাণে বাঁচিয়েছে।বিগত দিনে আমাকে কালাচ সাপ কামড় দিয়েছিল। হাসপাতালে গিয়ে সুস্থ হই।ওঝা-গুণীনের কাছে গেলে মৃত্যু শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা’।

আরও পড়ুন:  Lovesign: ‘ভালোবাসা’ চুরি করে আটক! শেষে কাগজে সই করিয়ে পুলিসই ‘প্রেম-চোরে’র হাতে ধরিয়ে দিল…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *