কিরণ মান্না: শনিবার নন্দীগ্রামে অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর তাঁর পরিচয় জানা যায় রবিবার। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী তাঁকে খুন করেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই মহিলা স্বামীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। বিধ্বংসী আগুনে বাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
শনিবার নন্দীগ্রামের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্রী গৌরীতে জলাশয় থেকে একটি অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিস। পরে সেই মহিলার পরিচয় জানতে পারে পুলিস। মহিলার বাবার বাড়ির লোকজনদের খবর দেয়। তারা এসে মহিলাকে শনাক্ত করে। মহিলার নাম পূর্ণিমা দাস মাইতি। মহিলার স্বামী শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ি থেকে গ্রেফতার করে মহিলার স্বামী জয়ন্ত দাসকে। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মহিলার শ্বশুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে ভস্মীভূত হয় মহিলার স্বামীর বাড়ি।
আরও পড়ুন:WB Weather Update: পশ্চিমী ঝঞ্ঝাকে তোয়াক্কা না করে কামব্যাক শীতের! বৃষ্টির চোখরাঙানি জেলায়-জেলায়…
প্রসঙ্গত, অন্যদিকে পুরুলিয়া শহরের ভাঁটবাঁধ পাড়ার পুকুর থেকে উদ্ধার ভাসমান দেহের নাম ও পরিচয় জানতে পারল পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত নাবালিকার নাম পায়েল মুর্মু (১৩) । বাড়ি টামনা থানা এলাকায় । পুরুলিয়া শহরের বেলগুমা পুলিস লাইনে পুলিস কোয়ার্টারে পেশায় পুলিস কর্মী মায়ের সঙ্গে থাকত সে।
গত ৩০ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা । পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে। পরিবারের পক্ষ থেকে টামনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয় । আজ পুরুলিয়া শহরে পুকুরের মধ্যে ওই নাবালিকার ভাসমান দেহ উদ্ধার হয় । খুন নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস ।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে পুকুরের মধ্যে ওই নাবালিকার ভাসমান দেহ দেখতে পান এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস । পুকুর থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় । ওই নাবালিকার পরিবার হাসপাতালে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)