Canning: বিরল রোগে আক্রান্ত ৮ মাসের মেয়ে; ভ্যাকসিনের দাম ১৬ কোটি টাকা, অকূল পাথারে বাবা-মা


প্রসেনজিত্ সরদার: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের রূপনগর এলাকার বাসিন্দা হৈমন্তী দাস ও বাপন দাস। বাপন দাস পেশায় একজন শিক্ষক। দম্পতির একমাত্র শিশুকন্যা হৃদিকা দাস। বয়স মাত্র ৮ মাস। নিঃষ্পাপ এই শিশুর দেহে বাসা বেঁধেছে বিরল এক প্রাণঘাতী রোগ। যা চিকিৎসায় সেরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু তার জন্য যে টাকা লাগবে তা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আরও পড়ুন-শনিবার থেকে শুরু ঢাকা চলচ্চিত্র উত্সব, বদলের বাংলাদেশে দেখানো হবে ভারতের এই ৪ ছবি

হৃদিকাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা। একমাত্র দেশের প্রধানমন্ত্রী,রাষ্ট্রপতি কিংবা রাজ্যের রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যেই ছোট্ট এই শিশুকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে হৃদিকার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ভিডিও পোষ্ট করে সকলকে পাশে থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে ওই শিশুর আরোগ্য কামনা করেছেন অনেকেই।

সামাজিক মাধ্যমের বিরল সেই ঘটনা নজরে পড়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের। বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে চিকিৎসা বাবদ এত বিপুল পরিমাণ খরচ কীভাবে সামলাবেন বিধায়ক? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার জন্য তিনি রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন।’
 
উল্লেখ্য ছোট্ট হৃদিকা’র শরীরে বাসা বেঁধেছে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি টাইপ -১ (Spinal Muscular Atrophy Type-1)নামে এক বিরল এবং প্রাণঘাতী রোগ। এর সঙ্গে লড়াই করে চলেছে আট মাসের ফুটফুটে কন্যা। বিরল ওই রোগের চিকিৎসার জন্য জোলগেনসমা(Zolgensma)নামে একটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন। এর বাজারমূল্য কমপক্ষে ১৬ কোটি টাকা।

হৃদিকার মা হৈমন্তী দাস জানিয়েছেন, ‘ওর বয়স আট মাস। এই বয়সে বাচ্চারা সাধারণ বসতে পারে। কিন্তু ও পারে না। ঘাড়টাও এখনও শক্ত হয়নি। শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। খাবার গিলতে সমস্যা হচ্ছে। অক্সিজেনও দিয়ে রাখতে হয়েছে। টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানো হচ্ছে। এই রোগের চিকিত্সা অত্যান্ত ব্যায়বহুল। সাধারণ পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। আগামী ১০ মাসের মধ্যে ওকে একটা ভ্যাকসিন দিতে হবে। সেই ভ্যাকসিনের দাম প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এই টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে অসম্ভভ। আপনাদের কাছে একমাত্র মেয়ের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন জানাচ্ছি। যদি সহৃদয় ব্যক্তি,প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মেয়ের চিকিৎসা খরচ বহন করেন, তাহলে হয়তো হৃদিকা পৃথিবীর বুকে প্রষ্ফুটিত হবে। তা না হলে ওকে চিরতরে হারিয়ে যেতে হবে। সকলের কাছে করজোড়ে আবেদন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে হৃদিকা কে বাঁচতে সাহায্য করুন।’

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *