প্রদ্যুত্ দাস: রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে বাংলাদেশ থেকে এপারে চলে আসছেন বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তর্বর্তী এলাকায় প্রায়শই বহু বাংলাদেশি ও তাদের আশ্রয়দাতাদের গ্রেফতার করছে বিভিন্ন জেলার পুলিস। শুক্রবার রাতে এরকমই ৭ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-যুদ্ধবিরতির পরে ইজরায়েলে বন্দিমুক্তি আজই! আছে নাবালক-নাবালিকাও…
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ৭ বাংলাদেশি নাগরিক বাসে চড়ে কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি যাচ্ছিল। তাদের গন্তব্য ছিল শিলিগুড়ি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের ধরে ফেলে কোতোয়ালি থানার পুলিস। ধৃতদের বক্তব্য, ওপারে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। তাই প্রাণ বাঁচতেই এপারে চলে এসেছেন তাঁরা।
জেলা পুলিস সুপার উমেশ খান্ডবাহাল জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা কেউই ভারতে প্রবেশের বৈধ নথি দেখাতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার তাদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে বেআইনি এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর থেকে ৫ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৄতেরা হল তুষার আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, সামিদুল ইসলাম, মহম্মদ শামিম ও মহম্মদ জলিল ৷ এই পাঁচজনের মধ্যে ৪ জন বৈধভাবে ভারতে এলেও জলিল অবৈধভাবে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে তারা এদেশে প্রবেশ করেছে বলে খবর ৷
জলিল ভারতে এসে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করেছিল। বাংলাদেশের ঢাকা, কুস্টিয়া, বরিশাল ও লক্ষ্মীপুর এলাকায় বাড়ি বলে পুলিস সূত্রে খবর৷ ধৄতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের থানায় মামলা রয়েছে বলেও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ ধৄতদের মধ্যে একজন চিনেও গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রত্যেকের কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশি সিমকার্ড ৷ পুলিস সূত্রে খবর, ২৩ সালে জুলাই মাস নাগাদ তারা ভারতে আসে ৷ তারপর থেকে সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকায় তারা ছিল ৷ সবাই একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করত ৷
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)