পিয়ালি মিত্র, অর্ণবাংশু নিয়োগী: বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যায়। ফাঁসির সাজা হল না সঞ্জয়ের। এদিন আদালতে এ কথাই উঠেছিল। আরজি করে জুনিয়র মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা শোনালো বিচারপতি। সিবিআইয়ের দেওয়া প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই সাজা ঘোষণা করলেন বিচারপতি অনির্বাণ দাস। তাঁর বক্তব্য, ‘সরকারি হাসপাতালে ৩৬ ঘণ্টা ধরে ডিউটিতে ছিলেন শুধু মানুষের সেবা করার জন্য। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী।’
বিচারপতি আরও বলেন, ‘তাঁর মৃত্যু শুধু পরিবারের নয়, গোটা সমাজের ক্ষতি। এই ঘটনা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বহু ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য যান তখন যদি তাদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে।’ তবে সিবিআই আগেই সঞ্জয় রায়ে জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাত্ ফাঁসির আবেদন জানায়। যদিও সঞ্জয়ের আইনজীবীর আবেদন, তিনি ফাঁসির শাস্তির বিরুদ্ধে নন, কিন্তু যদি সঞ্জয়কে সংশোধনের সময় দিয়ে অন্য কোনও সাজা দেওয়া যায়।
সাজা ঘোষণার আগে ফের বিস্ফোরক আর্তি করে সঞ্জয় বলে, “আমি খুন বা ধর্ষণ কোনওটাই করিনি। বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি ধর্ষণ-খুন করে থাকতাম, তাহলে কি রুদ্রাক্ষের মালা নষ্ট হত না? আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। পুলিসের কাছ থেকে যখন সিবিআই-এর কাছে যাই। আমি কিছু করিনি।”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)