যৌতুক দেওয়ার পরও টাকা-বাইক দিতে না পারেননি শ্বশুর! রাগে স্ত্রীকে গলা টিপে মারল…| husband was accused of strangulating his wife for not giving her additional dowry money and bike


বিমল বসু: বিয়ে নিয়ে প্রত্যেক মেয়ের একটা আলাদা আবেগ থাকে। কিন্তু একজন মেয়ের থেকেও বেশি চিন্তায় থাকেন বাবা। মেয়ে ছোট থাকাকালীন বিয়ে দেওয়ার জন্য একটু একটু সঞ্চয় করে থাকেন বাবা। বিয়ের সোনা-গয়না থেকে শুরু আসবাবপত্র, বরযাত্রীর আপ্য়ায়ন সবটাই একার কাঁধে নেন বাবা। তারপর নিজের সাধ্যমত করার পরও মেয়ে যখন সুখে থাকতে পারেনা, তখন বাবার কাছে এর চেয়ে দুঃখের কিছু হয় না।

অতিরিক্ত যৌতুক দিতে না পারায় মর্মান্তিক পরিণতি হল এক গৃহবধূর। জানা গিয়েছে, অর্থ এবং বাইক না দেওয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় উত্তর ২৪  পরগণার মাটিয়া থানার স্বরুপনগর এলাকার চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানায়, তুহিনা পারভীনের (২৪) দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালায় স্বামী সব্বির আহমেদ ও তার পরিবার অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।    

পুলিসও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মাস সাতেক আগে হাসনাবাদের বরুনহাট রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েতের কালুতলা গ্রামের তুহিনা পারভীনের সঙ্গে বিয়ে হয় মাটিয়ার স্বরূপনগর এলাকার সাব্বির আহমেদের সঙ্গে। তুহিনার পরিবারের দাবি, বিয়ের সময় জামাইয়ের চাহিদা মত নগদ অর্থের পাশাপাশি আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিস যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের মাস পাঁচকের পর থেকেই অতিরিক্ত যৌতুক হিসাবে বাইকের দাবি করে জামাই। বাইক দিতে না পারায় তুহিনার উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। 

আরও পড়ুন:BGBS 2025: পাঁচ বছরে ১৫ হাজার কোটি! বাংলার পাশেই নেওটিয়ার অম্বুজা…

মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তুহিনা অসুস্থ বলে ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তুহিনার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, এই খবর পেয়ে ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় মৃত মেয়ের গলায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন। তাদের দাবি, তুহিনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর গলায় দড়ির ফাঁসে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে মাটিয়া থানায় জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। 

পুলিস জানায়,এই ঘটনার পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এলাকা ছেড়ে পালায়। মৃতের বাবা খলিলুর রহমান গাজী বলেন, বিয়ের সময় মোটা অংকের টাকা ছাড়াও আসবাবপত্র এবং সোনার গয়না দিয়েছিলাম। তারপরেও বাইকের দাবি করে মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত জামাই ও তার বাড়ির লোকেরা। বাইক দিতে না পারার জন্য আমার মেয়েকে ওরা খুন করল। অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করছি।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *