চিত্তরঞ্জন দাস: প্রবল বিক্ষোভের জেরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে সরল বাংলাদেশ সরকারের লোগো দেওয়া স্বাস্থ্য দফতরের ফ্লেক্স। নজরদারির গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিলেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা ধীমান মণ্ডল। ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের সুপারের পদত্যাগ চেয়ে সুপারের অফিসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির চিকিৎসক সেল।
আরও পড়ুন-বিজেপি না আপ? দিল্লির ‘বাঙালি’ এলাকার কোথায় কে জিতল…
বিতর্কের শুরুটা ছিল গতকাল শুক্রবার। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সিসিইউ ইউনিট এর সামনের দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছিল গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো দেওয়া একটি ফ্লেক্স। মা ও শিশুর পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে খোদ সরকারি হাসপাতালের দেওয়ালে সরকারি বিজ্ঞাপনে কীভাবে বিশ্ব বাংলার লোগোর বদলে বাংলাদেশ সরকারের লোগো লেগে গেল? সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখতেই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তড়িঘড়ি সেই বিতর্কিত ফ্লেক্স খুলে ফেলা হয়। বিতর্কিত এই ফ্লেক্স অনেকগুলো প্রশ্ন তুলে দিল সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে।
শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ডক্টর ধীমান মন্ডলের অফিসের সামনে এনিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির চিকিৎসক সেলের সদস্যরা। রীতিমতো সুপারের রুমের ভেতর তুমুল বাদানুবাদ চলে। বিজেপি চিকিৎসক সেলের সদস্যদের সঙ্গে দলীয় কর্মীরা সুপারের যুক্তিতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আন্দোলনের চাপে শেষমেশ সুপার স্বীকার করে নেন পুরো সিস্টেমে নজরদারির অভাব ছিল। পুলিসকে জানানো হয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে। বিজেপি সদস্যরা তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন মহকুমা হাসপাতালের সুপারের হাতে।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ওই ঘটনার পেছনে গভীর চক্রান্ত লুকিয়ে রয়েছে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে। সুপার পদত্যাগ না করলে অনেক তথ্য লোপাট হবে আর জি করের মতো। ঘটনা ঘটার বেশ কয়েকটা ঘন্টা কেটে গেলেও এখনো হয়নি তদন্ত শুরুর প্রাথমিক প্রক্রিয়া। গঠিত হয়নি তদন্ত কমিটি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)