অয়ন ঘোষাল: চিত্ত নিবাসের ভেতরে ও বাইরে ১৮ টা সিসিটিভি আছে। ভেতরে বিভিন্ন করিডোর মোট ৭ টা সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। প্রতিটি সিসিটিভি প্লাগ খোলা ছিল। ট্যাংরা কাণ্ডে একের পর এক তথ্য চাঞ্চল্যকর মোড় দিচ্ছে এই ঘটনাকে। সিসিটিভির সঙ্গে হার্ড ডিস্ক যে প্লাগ দিয়ে সংযুক্ত থাকে, ভিতরের ক্যামেরাগুলোতে সেই সংযোগ ছিন্ন করা ছিল। পুলিসের অনুমান, এই ঘটনা থেকেই কোথাও না কোথাও পরিকল্পনার ছাপ পাওয়া যাচ্ছে।
ট্যাংরা কাণ্ডে ঠান্ডা মাথায় ঘটানো হয়েছে ঘটনা। প্রমাণের লেশ মাত্র না রাখতেই সিসিটিভি ক্যামেরা আগে অকেজো করে রাখা হয়েছিল। আবার বাইরের দিকের ক্যামেরার মধ্যে ছাদের সব সিসিটিভির মুখ ঘোরানো ছিল। ১৬ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনও ফুটেজ নেই। ১৬ ফেব্রুারিতেই আন প্লাগ করা হয়েছে। এমনকী কোনও রেডিমেড বিষ নয়। মেয়েকে মারতে দে পরিবার নিজেরাই করে ‘ভয়ংকর’ বিষ!
দে পরিবার মেয়েকে মারতে একাধিক ওষুধ মিশিয়ে নিজেরা-ই তৈরি করেছিল ‘বিষ’। রাংতা থেকে বের করে কোনও ‘বিষাক্ত পদার্থ’ পায়েসে মেশানো হয় ১৭ তারিখ। আসলে একাধিক প্রেশারের ওষুধ এবং হাই ডোজের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল পায়েসে। প্রমাণ লোপাট করতে তারপর সেই রাংতাগুলো অন্যত্র ফেলে আসা হয়। সেই রাতেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে কোথাও একটা থেমে রাংতাগুলো ফেলা হয় বলে সূত্রের খবর। ওষুধের কটু গন্ধে দুই নাবালক-নাবালিকা প্রথমে পায়েস খেতে চাইছিল না।
দুই জা সুদেষ্ণা এবং রোমির গলায় ছুরি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওদিকে ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েৃর নাকে, ঠোঁটে, ডান হাতে আঁচড়ানো এবং ঘসটানোর দাগ মিলেছে। হাতের শিরাও কাটা। কানের পিছনে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। তদন্তকারীদের কাছে সব থেকে বড় প্রশ্ন হল, খুন করল কে? দুই ভাইয়ের মধ্যে কে খুনি? কারণ অকুস্থলে ছুরি মিলেছে একটাই! এই ছুরি ব্যবহার করেছে কে? প্রণয় দে নাকি প্রসূন দে?
আরও পড়ুন, Tangra Murder Case: এক ছুরিতেই ৩ খুন! খুনি কি এক ভাই-ই? ট্যাংরাকাণ্ডে রহস্য চড়ছে…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)