প্রবীর চক্রবর্তী ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ভুয়ো ভোটার ধরতে কমিটি গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে গঠন হয়েছে ওই ৩৬ জনের কমিটি। সেই কোর কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই কোর কমিটির বৈঠক বসছে আজ। আজকের বৈঠকে ডাকা হয়েছে সমস্ত জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যানদেরও। গত এক সপ্তাহের কাজের খতিয়ান নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকের পর ৪ সদস্যের একটি দল যাবে নির্বাচনে কমিশনে।
আরও পড়ুন-লন্ডনে বিক্ষোভের মুখে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর, ছিঁড়ে ফেলা হল জাতীয় পতাকা
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের যে বৈঠক হয় সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ভুয়ো ভোটার ধরতে হবে। তার জন্য ৩৬ জনের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। এর পরই দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা রাস্তায় নেমেছিলেন। ভুয়ো ভোটার ধরার চেষ্টা করেছিলেন। জানার চেষ্টা করেছিলেন কাদের একই এপিক কার্ড রয়েছে। যার এপিক কার্ড রয়েছে তারা সেই জায়গায় রয়েছেন কিনা, কত বছর আছেন, এইসব বিষয় খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বৈঠক হয়। আজ বৃহস্পতিবার। এই কদিন ভুয়ো ভোটার ধরতে কতটা কাজ করা গেল সেই কাজের খতিয়ান তৃণমূল ভবনে নেওয়া হবে। পাশাপাশি তৃণণূল কংগ্রেস চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের উপরে। ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। আজ কোর কমিটির বৈঠক শেষেই তৃণমূলের ৪ সদস্যের একটি দল কলকাতার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যাবেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা ডেপুটেশন দেবেন। প্রতিনিধিদলের তরফ থেকে কমিশনের হাতে ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে দেওয়া হবে। আজকের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন কিনা তা নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে। ঘনিষ্ঠমহলে এখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেননি যে তিনি বৈঠকে থাকবেন নাকি থাকবেন না। সূত্রের খবর, জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে গত ৭ দিনে ভুতুড়ে ভোটার ধরতে কী কাজ হয়েছে তা পর্যালোচনা করা হবে আজকের বৈঠকে।
কী নিয়ে এই সমস্যা? কমিশনের তরফে দাবি করা হচ্ছে কিছু রাজ্যে এপিক কার্ডে একই সিরিজের নম্বর ব্যবহার করা হয়। এর ফলে একাধিক ভোটারকে একই এপিক নম্বর দেওয়া হয়েছে। এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি এপিক নম্বরে ৩টি লেটার ও ৭টি সংখ্যা থাকে। প্রথম তিনটি লেটার প্রতিটি বিধানসভার জন্য আলাদা। তাই কোনও এপিক নম্বরের প্রথম তিনটি লেটার অন্য কারও সঙ্গে এক হতে পারে না। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুর্শিদাবাদের রানীনগরে বাড়ি মহম্মদ সাইদুল ইসলামের। তাঁর যে এপিক কার্ড রয়েছে তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে সোনিয়া দেবীর নাম। তাঁর বাড়ি হরিয়ানায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)