Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের তৃতীয় দিন! বৈঠকে কী কী উঠে আসবে?


শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ইতিমধ্যেই লণ্ডনের (London) উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডনযাত্রা নিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। শুধু তাই নয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (University of Oxford) থেকে তাঁর আমন্ত্রণকে তিনি বিশাল সম্মান বলে জানিয়েছেন। 

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আজ তৃতীয় দিন। আজ শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে যে হোটেলে থাকছেন সেখানেই হবে এই বৈঠক। এবারে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ব্রিটিশ হাই কমিশন এক বিশাল প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। 

আজকের বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে এ রাজ্যের বিশিষ্ট একাধিক শিল্পপতি লন্ডনে পৌঁছে গেছেন। উমেশ চৌধুরী (Umesh Chowdhary), সঞ্জয় বুধিয়া (Sanjay Budhia), সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roychowdhury)-সহ একাধিক শিল্পপতি উপস্থিত থাকবেন আজকের এই বৈঠকে। তবে আইপিএল (IPL)-এর কারনে সৌরভ (Sourav Ganguly) এই বৈঠকে আজ থাকবেন না। তবে অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের দিন তিনি উপস্থিত থাকবেন।

গতকালই ভারতীয় দূতাবাসে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত চা চক্রতে শিল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কেন রাজ্য উৎকৃষ্টতম জায়গা তা নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি বক্তব্য রাখতে গিয়ে একসময় মুখ্যমন্ত্রী, মহিলা শিল্প উদ্যোগী নিয়ে কেন্দ্রের সমীক্ষায় রাজ্য যে শিরোপা পেয়েছে, সে কথাও তার বক্তব্যে উঠে আসে।

দেউচার কয়লা খনি (Deucha Pachami coal block) প্রসঙ্গ, কলকাতায় এআই হাব (AI Hub) প্রসঙ্গ, সিলিকন ভ্যালি (Silicon Valley) তৈরি করার প্রসঙ্গ -সহ একাধিক বিষয় তুলে ধরেন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী সিনার্জি কমিটি তৈরি করেছিলেন যাতে কোন কাজে বিলম্ব না হয়। কথায় কথায় সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের সেরা ঠিকানা হল বাংলা। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে তথ্যপ্রযুক্তি সব জায়গাতেই এগিয়ে আমাদের রাজ্য। তাই শিল্প স্থাপনের সবথেকে সেরা জায়গা হল বাংলা। আজ, মঙ্গলবার লন্ডনে শিল্পপতিদের সঙ্গে লগ্নি বিষয়ক বৈঠকের  আগে সোমবার ভারতীয় হাই কমিশনে বাংলার অগ্রগতি নিয়ে তিনি বিশদে আলোচনা করেছেন। আগামীদিনে যে চাকরির সেরা ঠিকানা কলকাতা তা তাঁর বক্তব্যে ফুটিয়ে তোলেন। তিনি বলেন, খড়গপুর আইআইটির মতো পড়ার জায়গা আমাদের বাংলাতেও আছে। এছাড়াও নিউটাউনে আইআইটি হাব তৈরি হচ্ছে এবং ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি লগ্নির সম্ভাবনা এই বাংলাতেই আছে। এখানে স্পষ্টত্বই, তিনি বাংলার পড়ুয়া তথা সকল জায়গার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক সোনালী ভবিষ্যৎ তৈরির পরিকল্পনা করছেন। 

পুরো বিশ্বের কাছে শুধু বাংলাকে তুলে ধরা না, কীভাবে বাংলার পর্যটন-শিল্পকে সকলের কাছে তুলে ধরবেন সেই চেষ্টাই তিনি করছেন। এবারের লন্ডন সফরে (London Visit) ব্রিটেন ও বাংলার যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি, কলকাতা ও লন্ডনের সম্পর্ক আরও প্রাণবন্ত করতে তৎপর হয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। লন্ডন থেকে কলকাতায় সরাসরি উড়ানের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, কলকাতা থেকে লণ্ডনের দূরত্ব মাত্র ৮ ঘন্টা কিন্তু ব্রেক জার্নির ফলে সময় লাগে প্রায় ১৮ ঘন্টা। তাই তিনি সময় বাঁচানোর কথা ভেবেই মূলত এই উড়ানের প্রস্তাব দিয়েছেন সকলের কাছে। 

বিশ্ব বাংলা হাব তারির প্রসঙ্গে মাননীয়া বলেছেন, বিশ্ববাংলা শুধু একটা স্টল নয়। এটা বাংলার পরিচয়ও বটে। এখানে যেমন দই থাকবে, তেমনই থাকবে সন্দেশ। এভাবেই বিশ্বের কাছে বাংলাকে তুলে ধরেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কলকাতাকে বাংলার সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। শিক্ষা থেকে শিল্প, কর্মসংস্থান থেকে উন্নয়ন সবকিছুতেই সবার থেকে বাংলা এগিয়ে। এভাবেই শিল্প সম্মলনে মননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে সবার মধ্যে তুলে ধরেন এবং বাংলাকে আরও আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথকে সুমসৃণ করে তোলেন।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *