কৌশিক সেন: রূদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, উৎপল দত্ত সম্পর্কে যা বলেছেন তা এক কথায় ধিক্কারজনক। ও সবসময়ই একধরনের অসূয়া থেকে এই ধরনের কথাগুলো বলে থাকেন। এটা শুধুমাত্র আজকে ওঁর বয়স হয়েছে বলে উনি অন্যের সম্পর্কে ভুল বকছেন, তা নয়। উনি চিরকালই এরকম । এর আগে গৌতম হালদারের সঙ্গে যখন ওঁর একটি পারিবারিক সম্পর্ক ছিল, তখন উনি গৌতমকে টেনে আমাদেরকে খারাপ কথা বলতেন। ফলত উনি লোকজনের সম্পর্কে চিরকালই বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করে থাকেন।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখতে ফলো করুন
নিঃসন্দেহে রূদ্রপ্রসাদবাবু প্রচুর কালজয়ী নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তারমধ্যে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে নিয়ে ‘আন্তিগোণে’ আমি কোনদিনই ভুলব না। বিশেষ করে ইংরেজি নাটকের বাংলায় রূপ দেওয়া এ বিষয়ে উনি সিদ্ধহস্ত। থিয়েটার জগতে ওঁর অবদান কোনদিনও ভোলার নয়। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে উনি চিরকালই এই ধরনের খারাপ মন্তব্য করে থাকেন লোকজনের সম্পর্কে। এই রোগ থেকে তিনি এখনও বেরোতে পারেননি। এটা কোথাও গিয়ে একটা ওর মানসিক রোগের পর্যায়ে চলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘যৌনতার তীব্র খিদেতে ছটফট করতেন’… বিস্ফোরক সুপারস্টারের প্রাক্তন স্ত্রী
আরও পড়ুন: ‘প্রাক্তন প্রেমিক ছিল অত্যন্ত টক্সিক এবং সন্দেহবাতিক!’ বিস্ফোরক মিমি চক্রবর্তী…
আসলে ওঁর তদানীন্তন লোকজন কেউ কখনও ওঁর সমালোচনা করেননি। আশেপাশের সকলেই ছিলেন স্তাবক। নাট্য চর্চার পাশাপাশি উনি সারাজীবন প্রচুর বাজে কথা বলেছেন এবং ওঁর এই বাজে কথা আজও অব্যাহত তাই আমি অন্তত অবাক হইনি এতে। ‘স্টালিন ১৯৩৪’ ছাড়া রূদ্রপ্রসাদবাবুর,উৎপল দত্তের অন্য কোনও থিয়েটার আর ভালোলাগেনি,তাতে কারও কিছু এসে যায়না।
কেউ কারও রাজনৈতিক বিশ্বাসে কমিউনিস্ট হতেই পারেন, মার্কস্টিস্ট হতেই পারেন। উত্পল দত্ত তাঁর নাটকের মধ্যে কমিউনিজমের ভাবধারা ঢোকাতেই পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে উনি জোর করে কমিউনিস্ট হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর উৎপল দত্ত যে একজন কিংবদন্তী, এ কথা সকলেই জানে তাই কে কী বলল উত্পল দত্ত সম্পর্কে এতে সত্যিই কিছু এসে যায় না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)