Canning Incident: পায়রা নিয়ে বচসার জেরে ধুন্ধুমার! ইঁট দিয়ে গৃহবধূর মুখ থেঁতলে দিল প্রতিবেশী…


প্রসেনজিত্‍ সরদার: পায়রা নিয়ে বচসা, বধুকে ইট দিয়ে মুখে মারার অভিযোগ। আহত বধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রতিবেশী এক পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ । থানায় অভিযোগ দায়ের তদন্তে পুলিস।

পায়রাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের বচসা। এক বধূকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলে অপর এক পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ির মধুখালি গ্রামে। জখম বধূ রোশনারা সাঁফুই আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে বধুর স্বামী সফিউল্লা সাঁফুই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে অনেক রাত পর্যন্তও ফিরল না তরতাজা ছেলে, সকালে এল মর্মান্তিক খবর

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মধুখালি গ্রামের বাসিন্দা সফিউল্লার বাড়িতে পায়রা রয়েছে। পায়রা রয়েছে প্রতিবেশী রফিকুল মন্ডলের বাড়িতেও। প্রতিনিয়ত দুই পরিবারের পায়রা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করে। সকালে রফিকুলের পায়রা গিয়েছিল সফিউল্লার বাড়িতে। সেখান থেকে পায়রা ধরে নিয়ে বাড়িতে আসে রফিকুলের পরিবার। অভিযোগ সেই সময় সফিউল্লার ছেলেকে আচমকা মারধর করে। ঘটনার পর স্থানীয় গোলাবাড়ি পুলিস ক্যাম্পে জানায় সাঁফুই পরিবার। অভিযোগ এরপর রফিকুল মন্ডল ও তার দলবল নিয়ে সাঁফুই পরিবারের বাড়িতে চড়াও হয়। সফিউল্লা’র স্ত্রী রোশনারা কে বেধড়ক মারধ করা হয় ইট দিয়ে মুখে আঘাত করার অভিযোগ। সাঁফুই পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত বধুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Midnapore: অনলাইন গেমের ফাঁদে বিপুল দেনা, চরম সিদ্ধান্ত যুবকের…

আক্রান্ত বধূর স্বামী সফিউল্লা জানিয়েছেন, ‘রফিকুল মণ্ডলদের পায়রা আছে, আমাদেরও পায়রা আছে। ওর পায়রা আমাদের বাড়ি আসে। আমাদের পায়রাও মাঝে মাঝে ওর বাড়িতে যায়। সকালবেলায় ওদের বাড়ির লোক এসে সেই পায়রা নিয়ে চলে গেল। তখন আমার স্ত্রী মাঠে গরু নিয়ে গেছিল। আমার ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। রফিকুল মণ্ডল এবং তার স্ত্রী আমার ছেলেকে চড় মেরেছে। ওরা গালাগালিও দেয় আমার ছেলেকে। আমার ছেলের কান্নার আওয়াজ পেয়ে আমার মেয়ে প্রশ্ন করেছে, কেন আমার ভাইকে মারলে? আমার মেয়ে বলেছে বলে আমার মেয়েকেও দু-চার ঘা মেরেছে। আমার ছেলে মাঠে গরু বেঁধে এসে ওদের বলেছে, তোমাদের পায়রা তোমরা নিয়ে নেবে। আমি বাড়ি এলে আমায় আগে জিজ্ঞাসা করুক। আমার স্বামী বাড়ি নেই তোমরা আমার ছেলে মেয়েকে মেরেছো এটা তো ঠিক নয়। আমার স্ত্রী এই কথা বলায় সবাই এসে আমাদের বাড়ি চড়াও হয়। ওরা সবাই ইঁট পাটকেল, লাঠি নিয়ে আমাদের বাড়ি ছুটে আসে। আমার স্ত্রীকে ইঁট দিয়ে মেরেছে। আমি আমার স্ত্রীকে ডাক্তারকে দেখিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়ে এসেছি। প্রতিনিয়ত রফিকুল ও তার পরিবার অশান্তির সৃষ্টি করে।’

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *