‘থামিয়ে দেব’, জারাগোজা যেন আহমেদাবাদের কামিন্স, বাড়তি মোটিভেশন দরকার নেই মোলিনার!


জ়ি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘দর্শকদের একপেশে সমর্থন থাকবে জানি,  তবে প্রচুর দর্শকদের নীরব করে দেওয়ার চেয়ে তৃপ্তিদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। আগামিকাল আমাদের লক্ষ্য এটাই’! কথাগুলো কী আপনার চেনা চেনা লাগছে?

২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন ভরা সাংবাদিক বৈঠকে। আর তারপরের দিন (১৯ নভেম্বর) ঠিক কী হয়েছিল, তা আর মনে করানোর দরকার নেই। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের লক্ষাধিক দর্শককে চুপ করিয়ে, বিশ্বকাপ হাতে তুলেছিলেন কামিন্স। 

আরও পড়ুন: ‘দেখুন আমাদের মধ্যে…’ সমাজমাধ্যমে ‘বিশাল’ বিতর্কিত পোস্ট! মুখ খুললেন গুরুপ্রীত

রাত পোহালেই আইএসএল ফাইনাল। মুখোমুখি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও বেঙ্গালুরু এফসি। সবুজ-মেরুনের সামনে ইতিহাস লেখার হাতছানি রয়েছে শনিবার। অতীতে মুম্বই সিটি একই মরসুমে লিগ শিল্ড এবং আইএসএল কাপ জিতেছিল। মুম্বইকেই স্পর্শ করতে পারে কলকাতা। মোহনবাগান যে নিঃসন্দেহে ঘরের মাঠে ফেভারিট, সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। ফাইনালে, মাঠে মোহনবাগানের ১১ জন ফুটবলার খেললেও, স্টেডিয়ামেক ৬৫ হাজার সমর্থকও খেলবে মোহনবাগানের সঙ্গেই। 

২০২২-২৩ মরসুমের পর ফের একবার আইএসএল কাপ জয়ের হাতছানি মেরিনার্সের সামনে। ওদিকে ২০১৮-১৯ মরসুমের পর বেঙ্গালুরুর সামনে খেতাব জয়ের সুযোগ। ২০১৮-১৯ মরসুমের পর বেঙ্গালুরুর সামনে খেতাব জয়ের সুযোগ। মেগা ফাইনালের আগে শুক্রবার, আজ দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক হয়েছে নিউটাউনের এক অভিজাত হোটেলে। সেখানে হাজির ছিলেন মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা ও অধিনায়ক শুভাশিস বোস। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বেঙ্গালুরুর কোচ জেরার্ড জারাগোজা ও অধিনায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু।

এদিন শুরু থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে যুবভারতীর, বিরাট জন সমর্থনে ভর করে মোহনবাগানের ফাইনাল খেলা। বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বলছেন, ‘ঘরের দর্শকদের সামনে কলকাতায় এত বড় ম্যাচ খেলার অনুভূতিই আলাদা। মোলিনা বলছেন, ‘ভরা সল্টলেক স্টেডিয়ামে নামার জন্য রোমাঞ্চিত। এটাই আমাদের কাছে বিরাট তাগিদ। তাঁরাই সারাবছর আমাদের পাশে থেকেছেন। আমাদের আশা-ভরসা।  সমর্থকদের সেরাটা বেরিয়ে আসবে।’

এই সব শুনে জারাগোজা যা বললেন, যেন মনে হবে আহমেদাবাদের সেই কামিন্স ফিরলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ফাইনালে খেলার জন্য জন্য খুবই উৎসাহিত। সবকিছু ঠিক আছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং কলকাতা তো আমাদের সেকেন্ড হোম। আমরা এখানে ডুরান্ড কাপও খেলেছি। আমাদের প্লেঅফ ভালো খেলেছি এবং গ্র্যান্ড ফিনালেরও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ 

জারাগোজাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, এই ঘরের মাঠে মোহনবাগানের বিরাট জনসমর্থন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কী ভাবে  দিমি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস ও জেমি ম্যাকলারেনকে কী করে থামাবেন? যার উত্তরে জারাগোজা বলেন, ‘শুধু ওরা কেন, আপুইয়া, থাপাও তো আছে। আর আমাদের সুনীল ছেত্রী আছে। মোহনবাগানের কোনও একজন ফুটবলারকে থামানোর কথা বিএফসি ভাবছে না। আমরা মোহনবাগানকেই থামাব।’

আইএসএলের ১১ বছরের ইতিহাস সাক্ষী থেকেছে এক অদ্ভুত অঘটনের। ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭-১৮ আইএসএলে যথাক্রমে নিজেদের ঘরের মাঠে ফাইনালে হেরেছে এফসি গোয়া, কেরালা ব্লাস্টার্স এবং বেঙ্গালুরুও। মোহনবাগানও কিন্তু ভুক্তভোগী। ২০২৩-২৪ মরশুমে ঘরের মাঠে ফাইনালে হতশ্রী পারফরম্যান্স ছিল লোপেজ হাবাসের টিমের। আগামিকাল কি ফাইনালের হারই মোহনবাগানকে বাড়তি মোটিভেশন দিচ্ছে?

বাগান কোচ মোলিনার সাফ উত্তর, ‘অতীত নিয়ে আমি ভাবিত না। আমরা সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করছি। আমরা সবার উপরে থেকে লিগ শিল্ড জিতেছি। এটাই আমাদের মোটিভেশন। আইএসএল জেতার জন্য সবাই মরিয়া। আগের বছর ফাইনালে হার থেকে আমাদের বাড়তি মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। আমরা বরাবর ১০০ শতাংশ মোটিভেটেড। আমরা ইতিহাস রচনা করতে চাই।’ শুভাশিসও কোচের সঙ্গে গলা মিলিয়ে জানিয়েছেন যে অতীত তাঁরা বদলাতে পারবেন না, তবে এবার যুবভারতীতে নতুন কিছুই হবে। 

আরও পড়ুন: ফাইনালে স্কোর কী হবে? গোলের ব্যবধানও জানেন জারাগোজা-মোলিনা! শুনলে চমকে যাবেন…
 

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *