জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতে আয়ুর্বেদ আবার নতুন করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আজ যখনই কেউ আয়ুর্বেদের কথা ভাবেন, তখনই ‘পতঞ্জলি’ নামটা সবার আগে মনে আসে। দেশের লক্ষ লক্ষ বাড়ির রান্নাঘর বা বাথরুমে এখন পতঞ্জলির পণ্য দেখা যায়। এই পণ্যগুলো এখন শুধু একটা ব্র্যান্ড নয়, এক বিশ্বাসের প্রতীক-একটা বিশ্বাস, যা গড়ে উঠেছে ভারতের প্রাচীন জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। পতঞ্জলির সাফল্য শুধু তার পণ্যের কারণে নয়, বরং সেই লাখ লাখ মানুষের গল্পের জন্য, যারা এই পণ্য ব্যবহার করে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন।
চলুন দেখে নিই, কীভাবে গ্রাহকদের এই অভিজ্ঞতাগুলো আয়ুর্বেদের প্রকৃত শক্তি প্রমাণ করছে।
আরও পড়ুন: Patanjali Natural Products: পতঞ্জলি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষ কী বলছে এবং এর প্রভাব কী?
প্রাকৃতিক পণ্যের এক বাজার
পতঞ্জলি এমন একটি বাজার খুঁজে পেয়েছিল, যেটা অনেক বড় কোম্পানি উপেক্ষা করেছিল—প্রাকৃতিক ও সুস্থ জীবনধারার পণ্যের বাজার। মানুষ দিন দিন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছিল, বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো লাইফস্টাইল ডিজিজ বাড়তে থাকায়। যদিও বহু কোম্পানি আগে থেকেই আয়ুর্বেদিক পণ্য তৈরি করছিল, কিন্তু পতঞ্জলি এই বাজারকে যতটা গভীরভাবে বুঝেছিল, ততটা আর কেউ পারেনি।
গ্রাহকদের গল্প
বিউটি ব্লগারদের মধ্যে প্রাকৃতিক পণ্যের জনপ্রিয়তা
নতুন দিল্লির বিউটি ব্লগার অনামিকা সুরেখা এক সময় পরিচিত ব্র্যান্ড যেমন The Body Shop আর Lakmé ছেড়ে ব্যবহার শুরু করেন পতঞ্জলির অ্যালোভেরা জেল। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি এই পণ্যের ভক্ত হয়ে ওঠেন। তখনও তিনি জানতেন না যে কয়েক বছরের মধ্যেই এই ব্র্যান্ড এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, যে তার হাজার হাজার ফলোয়ার পতঞ্জলির রাসায়নিক-মুক্ত ভেষজ পণ্যের সুপারিশ চাইবে।
আজ অনেক মানুষ ইউটিউবে পতঞ্জলির পণ্য নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন—কারো প্রশংসা, কারো সমালোচনা। তবে সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এই ব্র্যান্ডটি নতুন প্রজন্মের বিউটি ব্লগারদের মধ্যে নিজের জন্য একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে—সেখানে যেখানে আগে আন্তর্জাতিক বড় ব্র্যান্ডগুলোরই আধিপত্য ছিল। এর পেছনে আছে সোজাসাপটা প্যাকেজিং আর দেশীয় উপাদানের ব্যবহার।
পতঞ্জলি স্টোরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা
পতঞ্জলির দোকানে যাওয়া শুধু কেনাকাটা নয়, এক ধরনের অভিজ্ঞতা। দোকানে ঢুকলেই প্রথমে চোখে পড়ে সবুজ সাইনবোর্ড আর বাবা রামদেবের ছবি, যা এক ধরনের প্রাকৃতিক সতেজতার অনুভব জাগায়। ভেতরের পরিবেশটাও আলাদা। কাউন্টারের পেছনে দেখা যায় ভেষজের বড় বড় কাঁচের বয়াম, যাতে হাতে লেখা হিন্দি নাম লাগানো থাকে—কম্পিউটার প্রিন্ট নয়। মনে হয় যেন প্রতিটি লেবেল কেউ যত্ন করে হাতে লিখেছে। আর গোটা দোকানজুড়ে থাকে ভেষজ গন্ধ, যা যেন প্রতিটি পণ্যের একটি গল্প বলে।
অনেকেই দোকানে আসেন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে। প্রতিটি দোকানে একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তার থাকেন, যিনি বিনামূল্যে রোগ অনুযায়ী পতঞ্জলির পণ্য সাজেস্ট করেন। এটা দেখায়, পতঞ্জলি শুধু লাভের জন্য কাজ করে না, বরং তারা গ্রাহকদের স্বাস্থ্যগত চাহিদার দিকেও গুরুত্ব দেয়। এটি প্রমাণ করে, তারা সত্যিই রাসায়নিক-মুক্ত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
[এই প্রতিবেদনটি IndiaDotCom Pvt Lt-এর কনজিউমার কানেক্টেড একটি উদ্যোগ। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল সম্পাদকীয় বিভাগ প্রতিবেদনের বক্তব্যের জন্য দায়বদ্ধ না।]
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)