বিধান সরকার: আজ, অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) শুভ দিনে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন (Digha Jagannath Temple Opening)! আর আজই শ্রীরামপুরের মাহেশে (Mahesh Jagannath Chandan Yatra) ৬২৯ বছরের প্রাচীন জগন্নাথ দেবের চন্দনযাত্রা উৎসব। কী হয় চন্দনযাত্রায়? শিরঃপীড়া দূর করতে এদিন চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয় জগন্নাথের কপালে। প্রাচীন রীতি মেনে আজও মাহেশে হয় এই চন্দনযাত্রা উৎসব (Chandan Yatra Festival)।
অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে প্রভু জগন্নাথদেবের চন্দনযাত্রা উৎসব হয় মাহেশে। এদিন সকাল থেকেই মাহেশে জগন্নাথের শরীরে চন্দন লেপন করা হয়। চন্দন যাত্রা উৎসবকে ঘিরে মন্দির-চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। ভোরে মঙ্গল আরতির পরে শুরু হয় প্রভুর বিশেষ পুজোপাঠ। ভক্তরা মন্দিরে এসে চন্দন ঘষেন এদিন। বেলা এগারোটায় শুরু হয় চন্দনযাত্রা উৎসব।
মাহেশ জগন্নাথদেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান, প্রচন্ড গরমে আমাদের যেমন মাথা ধরে, তেমনই মানবরূপী ভগবান মহাপ্রভুরও এই সময়ে মাথার যন্ত্রণা হয়, তাঁরও মাথা ধরে। কথিত আছে, এমনই এক বৈশাখ মাসে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে প্রভু জগন্নাথদেব আদেশ করেন, তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে, মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে, তাঁর মাথায় চন্দনের প্রলেপ দেওয়ার বন্দোবস্ত যেন করা হয়। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন মহাপ্রভুর আদেশমতো তাঁর মাথায় চন্দনের প্রলেপ দেন।
সেই সময় থেকে নিরচ্ছিন্নভাবে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। পিয়াল জানান, এদিন মাহেশের প্রভু জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রভু জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার মাথায় চন্দনপ্রলেপ করা হয়, যাতে তাঁর শিরঃপীড়া দূর হয়। এবং আজ অক্ষয় তৃতীয়া থেকে টানা ৪২ দিনব্যাপী প্রভুর মাথায় এই চন্দনলেপন চলবে, ৪৩ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হবে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার স্নানযাত্রা উৎসব। সেই উৎসব ঘিরে হাজার হাজার ভক্তের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
স্নানযাত্রার পরে প্রভুর ধুম জ্বর আসে। লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন তিনি। এরপর কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারলে রথে চেপে মাসির বাড়ি যাত্রা করেন। পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা উৎসব হল মাহেশের। যা এবার ৬২৯ বছরে পড়বে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)