চম্পক দত্ত: কেশপুরে গণহত্যা। স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৬ জনকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে খুন! অবশেষে সাজা পেল অভিযুক্ত। তাঁকে আমৃত্যু কারাদন্ডের নির্দেশ দিল মেদিনীপুর জেলা আদালত। বাবা শাস্তির কথা শুনে খুশি মেয়ে।
আরও পড়ুন: Husband kills wife: ডিভোর্স চাওয়া স্ত্রীকে কোপাল পুরুলিয়ার পিশাচ! তারপর নিজেই স্টেশনে গিয়ে…
২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল। সেদিন গভীর রাতে কেশপুরের বাগাগেড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয় অভিযুক্ত তাহের আলী। শ্বশুরবাড়ির সকলেই তখন বড় হলে ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাহের স্ত্রী মিনারা বেগম ও ওই দম্পতির ৩ মেয়ে। অভিযোগ, দরজা, জানলা বন্ধ করে পেট্রল ঢেলে সেই হলঘরে আগুন লাগিয়ে দেন তাহের। মুহুর্তে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। অগ্নিদগ্ধ হন ১১ জন। হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় অভিুক্তের স্ত্রী-সহ ৬ জনের।
এদিকে বাকি ৫ জন সুস্থ হয়ে ওঠার পর শুরু হয় মামলা। ১২ বছর পর সেই মামলার রায় ঘোষণা হল মেদিনীপুর জেলা আদালতে। অভিযুক্ত ছিলেন ১৪। ১৩ জন প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেও, তাহেরকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্তের মেয়ে মুশকান খাতুন বলেন ‘আমরা খুশি। আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে, আমাদের জীবনটা খারাপ করে দিয়েছে আমার বাবা। আমাদের ভবিষ্যতের কথাটা একটুকুও ভাবেনি। আমাদের মাথার উপর কেউ নেই। আমরা তিন বোন কোনরকমে বেঁচে রয়েছি’। তার মতে, ‘এই ধরনের বাবার ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল’।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরেরই দাসপুরের বালিপোতা এলাকার বাসিন্দা এই তাহের আলি। বিয়ের পর পরপর তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মিনারা। এরপর স্ত্রীর উপর অত্যাচারই নয়, শ্যালিকাকে বিয়ে করার জন্য় তাহের উঠেপড়ে লেগেছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু জামাইবাবুকে বিয়ে করতে রাজি হননি শ্যালিকা। এরপর থেকে স্ত্রীকে তাঁর পরিজন-সহ পুড়িয়ে মারার হুমকি দিত তাহের। শেষে তিন মেয়েকে বাপের বাড়ি চলে যান তাহেরের স্ত্রী। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি।
আরও পড়ুন: Bengal Weather: ফের কালবৈশাখি! সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)