রক্তিমা দাস: কলকাতার বড়বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Kolkata Fire)। ঋতুরাজ হোটেলে আগুন। আর সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তে নেমে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার লাইসেন্স ডিপার্টমেন্টের খাতায় ঋতুরাজ বলে কোনও হোটেলের কোনও অস্তিত্ব-ই নেই (Kolkata Rituraj Hotel Fire)!
জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর মদনমোহন বর্মন স্ট্রিটে বলরাম প্রপাটিস প্রাইভেট লিমিটেড এই নামে একটা ট্রেড লাইসেন্স করা হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু ঋতুরাজ বলে কোনও হোটেল নেই। আছে শুধু ঋতু আহার। এই হোটেলের মালিক আকাঙ্ক্ষা চাওলা। এই হোটেলের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু, এই ঋতু আহার হোটেলের অগ্নি নির্বাপক লাইসেন্স বর্তমানে রয়েছে। ঋতু আহারের প্যান নম্বর ABXPC7870J।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঋতুরাজ হোটেলের ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিস। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করছে কলকাতা পুরসভা। বিল্ডিং-এর বৈধতা কতটা ছিল, বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে কী কী পারমিশন নেওয়া হয়েছিল, ওপরে যে পানশালাটি তৈরি করা হয়েছিল তার আদৌ আদৌ পারমিশন ছিল কিনা- সবটাই খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি, বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে দুটি প্রবেশদ্বার রাখতে হয়, এক্ষেত্রে তার ব্যবহার কেন হল না? এই একাধিক বিষয়ের উত্তর খুঁজতেই তদন্ত কমিটি গঠন করছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন, Bank Merger: বড় খবর! কাল থেকেই বন্ধ দেশের ১৫ ব্যাংক! কী হবে আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার? জানুন…
আর সেই কমিটি গঠন নিয়েই এবার বিস্ফোরক বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। “কেন অভিযোগ করার পর জানতে পারবে, তাহলে পুরসভা আছে কি করতে! প্রত্যেকবার খালি মানুষ মরে আর কমিটি তৈরি হয়। দিন শেষে কিছুই হয় না। দায় ঠেলাঠেলি। পুরোটাই নাটক করেন। বিল্ডিং বিভাগ নিয়ে এত অভিযোগ, তাহলে মেয়র বিল্ডিং ছাড়েন না কেন। কারণ ওটা থেকে টাকা তোলা যায়!” বিস্ফোরক সজল ঘোষ।
আরও পড়ুন, Kolkata Fire: বড়বাজারের হোটেলে বিধ্বংসী আগুন, মর্মান্তিক মৃত্যু ১৪ জনের, প্রাণ বাঁচাতে নীচে ঝাঁপ…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)