Patanjali’s Investments: পতঞ্জলি কিভাবে ভারতের অর্থনীতিকে উন্নত করছে?


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ ভারতের অর্থনীতির উন্নয়নে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। এই কোম্পানি শুধু আয়ুর্বেদিক পণ্য বিক্রি করে না, বরং চাকরির সুযোগ তৈরি করছে এবং গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখছে। রাজস্ব ও লাভ ক্রমাগত বাড়ছে, এবং বাজারে পতঞ্জলি একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।

ভারতের শীর্ষ FMCG কোম্পানিগুলোর মধ্যে পতঞ্জলি স্থান করে নিয়েছে। তারা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেয়, দেশীয় পণ্যকে গুরুত্ব দেয় এবং কম দামে পণ্য সরবরাহ করে। এখন চলুন দেখি, কিভাবে পতঞ্জলির বিনিয়োগ গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের অর্থনীতি উন্নত করছে।

আরও পড়ুন: Patanjali’s Business Model: কেন পতঞ্জলির ব্যবসায়িক মডেল সফল দেশীয় উদ্ভাবনের একটি উদাহরণ?

গ্রামীণ উন্নয়নে পতঞ্জলির বিনিয়োগ
কৃষিনির্ভর উন্নয়ন মডেল

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে, পতঞ্জলি মধ্যপ্রদেশের মৌগঞ্জ জেলায় একটি বড় কৃষিনির্ভর উন্নয়ন প্রকল্প চালু করবে। এতে থাকবে ফসলের বৈচিত্র্য আনা, কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বীজ প্রস্তুতি ইউনিট এবং ফসল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট। সফল হলে এটি কৃষকদের আয় বাড়াবে এবং তাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করবে।

এই প্রকল্প রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং অতিরিক্ত পানির ব্যবহার কমিয়ে এনে খরচ কমাবে ও পরিবেশবান্ধব চাষে উৎসাহ দেবে। এতে শুধু কৃষির উন্নয়নই নয়, স্থানীয় পর্যটনও বাড়তে পারে।

জৈব চাষ এবং কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন

পতঞ্জলির “অর্গানিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (PORI)” কৃষিতে জৈব পদ্ধতি প্রচার করে। তারা মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি কৃষকদের আয় বাড়াতে সাহায্য করে। কৃষকদের ভালো মানের বীজ, জৈব সার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সুলভ দামে দেয়া হয়।

“পতঞ্জলি কৃষক সমৃদ্ধি কর্মসূচি”-র মাধ্যমে কৃষকদের জৈব কৃষি শেখানো হয়। এটি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থা ও কৃষি স্কিল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সহায়তায় পরিচালিত হয়।

সামাজিক দায়িত্ব (CSR) কার্যক্রম

পতঞ্জলি তার CSR কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, গ্রাম উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করছে। তারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায়, বিশেষ করে দরিদ্রদের সাহায্য, পরিবেশ রক্ষা এবং আয়ুর্বেদ ও যোগের মতো প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে।

আরও পড়ুন: Patanjali: পতঞ্জলি কীভাবে MSME খাতকে সহায়তা করছে এবং দেশীয় ব্যবসার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে…

শহুরে অর্থনীতিতে পতঞ্জলির প্রভাব
কারখানা সম্প্রসারণ

পতঞ্জলি নোয়েডা, নাগপুর ও ইন্দোরের মতো শহরে উৎপাদন কেন্দ্র বাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে তারা নাগপুরে এশিয়ার সবচেয়ে বড় কমলা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা চালু করেছে, যার বিনিয়োগ ₹১৫০০ কোটি টাকা। প্রতিদিন ৮০০ টন ফল প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা রয়েছে এতে। এতে কৃষকদের উপকার হয়েছে এবং শহরে চাকরির সুযোগও তৈরি হয়েছে।

রিটেইল ফ্র্যাঞ্চাইজি নেটওয়ার্ক

পতঞ্জলি সারা দেশে ১৫,০০০টিরও বেশি দোকান চালু করেছে, যা সাধারণ মানুষের কাছে আয়ুর্বেদিক পণ্য সহজলভ্য করে তুলেছে এবং প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে। তারা দুগ্ধজাত পণ্য, ইনস্ট্যান্ট খাবার, শিশুর যত্ন, প্রাকৃতিক প্রসাধনী এবং স্বাস্থ্য সাপ্লিমেন্টের মতো নতুন বিভাগে পণ্য আনার পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে আরও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে।

উপসংহার

পতঞ্জলির বিনিয়োগ ভারতের গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখছে। কৃষি, উৎপাদন ও খুচরা বিক্রয় খাতে তাদের উদ্যোগ, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ এবং টেকসই পদ্ধতির উপর গুরুত্ব দেওয়ার ফলে পতঞ্জলি আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধ ভারতের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *