দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের পর মন্দারমণিতে জাদুঘর; অপেক্ষায় ধোনি-সানি থেকে পেলে-দিবু…


শুভপম সাহা: বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। প্রতি উইকেন্ডেই হাওয়া বদলের জন্য তার মন উড়ুউড়ু করে। দীঘা-মন্দারমণি (Digha-Mandarmani) অনেকের কাছেই অক্সিজেন। দু’দিনের ঘোরার ডেস্টিনেশন হিসেবে, সমুদ্র সৈকতের চেয়ে ভালো আর কী-ই বা হতে পারে! সাড়ে চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে শহরের কোলাহল ছেড়ে সমুদ্রের মিঠেল হাওয়া সঙ্গে ঢেউয়ের গর্জন… 

দীঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) উদ্বোধন হওয়ার পর, পর্যটকদের ভিড় আরও বেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ‘প্রাচ্যের ব্রাইটন’-এ। গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya 2025) পুণ্যলগ্নে বাংলা পেয়েছে নতুন তীর্থক্ষেত্র। আর তার ঠিক এক মাসের মধ্যেই মন্দারমণি পেয়ে গেল এক স্পোর্টস মিউজিয়াম (Mandarmani Sports Museum)। গত ১৯ মে পূর্ব মেদিনীপুরের মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক।

কলকাতা ময়দানের শতাব্দী প্রাচীন ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট’স ক্লাব (সিএসজেসি, Calcutta Sports Journalists’ Club) ও লাক্সারি আমার ট্রি রিসোর্ট মন্দারমণির (Luxury Amar Tree Resort – Mandarmani) যৌথ উদ্যোগে, সৈকত শহর মন্দারমণি পেল ‘লাক্সারি আমার ট্রি রিসোর্ট স্পোর্টস মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’ (Luxury Amar Tree Resort Sports Museum And Library)। দেশে একাধিক সাংবাদিক ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের ক্লাব রয়েছে। তবে ১৯৫৬ সালে ভূমিষ্ঠ হওয়া সিএসজেসি, সেরকমই এক ক্লাব হিসেবে ইতিহাস লিখল এই সংগ্রহশালা তৈরি করে। এর আগে ভারতে কোনও সাংবাদিকদের ক্লাব যা পারেনি।

গত সোম বিকালে মিউজিয়াম উদ্বোধনের ছিমছাম অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক। ছিলেন প্রাক্তন কিংবদন্তি অ্যাথলিট ও সাংসদ জ্যোতির্ময়ী শিকদার, ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী, জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ শান্তি মল্লিক, আমার ট্রি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রবীর রায়চৌধুরী, সিএসজেসি-র প্রেসিডেন্ট শুভেন রাহা ও সচিব অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনুষ্ঠানে শুভেন রাহা বলেন, ‘আন্তরিক চেষ্টা থাকলে তা হবেই, দু’দিন পরে হলেও হবে। আমি যখন প্রথমবার এই মিউজিয়াম করার কথা বলেছিলাম, তা শুনে অনেকেই মুচকি হেসে বিদ্রুপ করেছিল। কিন্তু সেটাই ছিল আমার শক্তি। ঠিকই করে নিয়েছিলাম করবই, করে দেখাবই। সিএসজেসি-র সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়িত হল। আর এখানে দাঁড়িয়েই আমি কথা দিয়ে গেলাম যে, এই মিউজিয়ামকে বাংলার সেরা মিউজিয়াম করে দেখাব। আর প্রবীরবাবুকে কৃতজ্ঞতা জানানোর আমার কোনও ভাষা নেই। যখনই যা বলেছি, তখনই তিনি সম্মতি দিয়েছেন। কখনও তিনি না বলেননি।’ 

প্রবীর রায়চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম ধাপ পেরোলাম। স্বপ্নের প্রথম অধ্যায় শেষ করলাম। আগামী দিনে এই ছোট্ট বাংলোটাই আরও বড় হবে। অনেক বড় মিউজিয়াম হবে। কিছুদিন আগেই জগন্নাথ মন্দির হয়েছে দীঘায়। এবার মন্দারমণিতে স্পোর্টস মিউজিয়াম হল। আমি আশা করি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব এই মিউজিয়ামকে। আরও সুন্দর আর আরও বড় করব। আর সিএসজেসি-কে যেভাবে পাশে পেয়েছি আগামী দিনেও এভাবেই পাব।’

মিউজিয়ামে গেলে যা যা দেখতে পারবেন

এই মিউজিয়াম কি সকলের জন্য নাকি যাঁরা এই রিসর্টে থাকবেন, শুধু তাঁরাই দেখতে পারবেন? এই মিউজিয়াম সর্বসাধারণের কথা ভেবেই করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই মিউজিয়াম খোলা। শুধু রিসর্টে ঢোকার সময়ে এন্ট্রি পাস নিলেই হবে। বিনা পয়সায় দেখা যাবে সিএসজেসি-র বিশেষ জাদুঘর।

মিউজিয়ামের ভার্চুয়াল ট্যুরও সেরে নিন 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *