পার্থ চৌধুরী: তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের পর ফের আদালতে তোলা হল মেমারিতে মা-বাবাকে খুন করে, বনগাঁ মাদ্রাসায় হামলাকারী হুমায়ুন কবিরকে।
মেমারির জোড়া খুনের ঘটনায় বাবা মা কে খুন করে ধৃত হুমায়ুন ওরফ আশিকের ব্যাপারে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। ঠান্ডা মাথার ভদ্র আশিক যে ভিতরে ভিতরে এমন একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে বুঝতে পারছেন না কেউ।
বুধবার রাতে বনগাঁ মাদ্রাসায় হামলা ও তার আগে বর্ধমানের মেমারিতে নিজের মা-বাবাকে খুন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও বর্ধমানের মেমারি হয়ে উঠেছিল উত্তাল। বনগাঁর মাদ্রাসায় ঢুকে চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। দোষীকে নিজেদের হাতে নিতে বনগাঁ থানাতে ভাঙচুর করে তারা। কার্যত বুধবার রাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বনগাঁ।
বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরকে বনগাঁ মহাকুমা আদালতে তুললে বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
সূত্র মারফত্ জানা যায় তিনদিনের এই পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত হুমায়ুন হামলার ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে বলে তার কাছে থাকা কোরান শরীফ ঢাকার জন্য কাপড় চাইলে কেউ তা না দিলে সে তারপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তবে কি উদ্দেশ্যে বনগাঁয় এসেছিল সে, তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি।
তার পিসি রীণা চৌধুরী জানান, যাদবপুরে বি টেকে ভাল ফল করে সে। সে সময় সেখান থেকেই চাকরি পেয়ে যায় ভাল কোম্পানিতে। টাকা পয়সা পেয়ে ধর্মীয় স্থানে বা গরিবদের দান করে দিত। তিনি জানান, তার মানসিক সমস্যা নিয়ে বাবা চিন্তিত ছিলেন।
আশিকের পিসেমশাই চৌধুরী রফিকুল আলম জানান, বাড়িতে টাকা পয়সা দিত না সে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর কিছুদিন নিঁখোজ হয়ে যায়। হিমাচল প্রদেশ থেকে তাকে খুঁজে আনেন বাবা মা। চার বছর আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। গত কয়েক মাস বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকত। কারও সঙ্গে মিশত না। দিনে ঘুমোত। রাতে ল্যাপটপে কী যেন করত। সে তো নিজের বাবা মাকে খুন করেছে? উত্তরে তারা জানান, আমাদের আর কিছু বলার নেই। সে তো নিজেই স্বীকার করেছে।
মেমারি থানার পুলিশ বিচারকের নির্দেশে অভিযুক্তকে বর্ধমানের মেমারিতে নিয়ে যায় তদন্তের জন্য।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল