Digha Jagannath Temple: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বাড়ি বাড়ি দীঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ পৌঁছতে ভরসা রেশন দোকান…


বিধান সরকার: দীঘায় জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিলি হবে রেশন এর মাধ্যমে। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার রেশন ডিলারদের নিয়ে মিটিং করলেন মহকুমা শাসক। শহরবাসী রেশন এর মাধ্যমে পাবে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ। বিজেপি বিধায়ক জানালেন এই প্রসাদ গ্রহণ করবেন না।

সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা বলেন, প্রসাদ কিভাবে বিলি হবে সেটা নিয়ে রেশন ডিলারদের সঙ্গে একটা মিটিং হয়েছে। প্রথমে যে রকমভাবে আমাদের বরাদ্দ এসেছে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায় ২৫ থেকে ২৬ হাজার বাড়িতে আমরা এই প্রসাদ পৌঁছে দিতে পারব। সেই টার্গেট করে আমরা এগোচ্ছি সেইভাবে তৈরি করে যাতে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। একসাথে অনেক তৈরি করলে সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জগন্নাথের ছবি এবং ডালা যা প্যাকেজিং হবে সেটা এখনো এসে পৌঁছয়নি তাই কবে থেকে বিলি করা শুরু হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয় । 

আরও পড়ুন- Ahmedabad Plane Crash: চলছিল লাঞ্চ! আচমকাই মেডিক্যাল হস্টেলে ঢুকে এল বিমান, বেঘোরে প্রাণ হারালেন বহু চিকিত্‍সক…

রেশন ডিলারদের খাদ্য সরবরাহ দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী তারা কাজ করবে। এটা ভগবানের প্রসাদ কার রেশন কার্ড আছে কার্ড নেই সেটা বিষয় নয় যারা নিতে ইচ্ছুক তারা সকলেই পাবে। রেশন দোকানটা একটা মাধ্যম সেখানে মানুষ রেশন নিতে আসেন সেই কারণেই রেশন দোকানটাকে বেছে নেওয়া হয়েছে বিতরণের জন্য। সমস্ত ব্লক এবং পুরসভার আলাদা আলাদা টার্গেট দেয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী বিলিবন্টন হবে। একসাথে করে রাখলে যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য ভাগ করে দেয়া হয়েছে।

রেশন ডিলার কল্যানেশ্বর সাহা বলেন, আমরা খুশি জগন্নাথ দেবের প্রসাদ মানুষের কাছে পৌঁছোতে পারবো আমরা চাইছি একসাথে সব দোকানে এই প্রসাদ পৌঁছাক যাতে সবাই একসঙ্গে দিতে পারে, এতে মানুষের সুবিধা হবে । আমাদের রেশন দোকানে যথেষ্ট চাপ রয়েছে তা সত্ত্বেও আমরা এই কাজটা করব। একসঙ্গে অতিরিক্ত না দিয়ে অল্প করে দিলে পরে ভালো হয়।

আরও পড়ুন- Ahmedabad Plane Crash: টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভস্মীভূত বিমান! দেখুন শেষ মুহূর্তের হাড়হিম সেই ভিডিয়ো…

বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, এটা জগন্নাথ মন্দির নয় এটা কালচারাল সেন্টার। এটা আপনার আমার টাকায় তৈরি করা হয়েছে। কার ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করবে তাই রেশন ডিলাদের ডেকে ডেকে মিটিং করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আমার প্রশ্ন  এই প্রসাদ কি সংখ্যালঘু বাড়ীতেও যাবে ,নাকি ব্যবসা করার জন্য এটা করা হচ্ছে। পুরোটাই একটা হাস্যকর ব্যাপার। প্রসাদ মানে ভক্তি বিশ্বাস, প্রসাদ বলে এটাকে অপমান করা হচ্ছে । তৃণমূল কংগ্রেস একটা সিন্ডিকেট যেখান থেকে পারছে পয়সা  তুলছে। আপনার আমার করের টাকায় এসব করেছে নিজের নাম কিনবার জন্য। সত্যি প্রসাদ হলে গ্রহণ করতাম যেমন রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পরে যে প্রসাদ এসেছিল সমস্ত বাড়িতে গিয়েছিল মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছিল। দলের কর্মীরা কি করবে আমি জানিনা কারন আমি তাদের নির্দেশ দেওয়ার কেউ নই কিন্তু আমি গ্রহণ করবো না।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *