কিরণ মান্না: দীঘা জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) পক্ষ থেকে প্রসাদ বিতরণের (Digha Jagannath’s Prasad) কর্মসূচি শুরু হল কাঁথি শহরে। তবে সেটা শুরু হল, একটু অন্যরকম ভাবে। ভবতারিণী কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা করলেন দীঘা জগন্নাথ ধাম ট্রাস্ট কমিটির সদস্য সুপ্রকাশ গিরি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড় কাঁথির একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই ভবতারিণী কালী মায়ের মন্দিরে দেবীকে খুবই ‘জাগ্রত’ বলে মনে করেন ভক্তেরা। স্বয়ং জগন্নাথদেব এবং মা কালীর আশীর্বাদ নিয়ে প্রসাদ-বিতরণ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল।
ঘরে ঘরে
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিটি প্যাকেটে রাখা হয়েছে মন্দিরের ছবি, একটি গজা ও একটি প্যাঁড়া। এই প্রসাদ-অনুষ্ঠানে যাঁরা সামিল ছিলেন সুপ্রকাশ গিরির হাত ধরে তাঁদের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়। এদিন রেশন ডিলারদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় প্রসাদের প্যাকেট। যাঁদের মাধ্যমে শীঘ্রই সেগুলি প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তৃণমূল নেতা, রেশন ডিলার
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী ইলা আন্না-সহ একাধিক রেশন ডিলার ও তৃণমূল কর্মীবৃন্দ। এছাড়াও একই দিনে দীঘার প্রদিমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় প্রসাদ বিতরণের কাজ। উপস্থিত ছিলেন প্রধান সুশান্ত পাত্র, উপপ্রধান সুজিতকুমার কর এবং দীপঙ্কর রায়-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, দোকানে টেন্ডার দিয়ে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথের প্রসাদ। এত বড় টেন্ডার পেয়ে খুশি মিষ্টি বিক্রেতারা। তবে, কদিন আগেই জানা গিয়েছিল, জগন্নাথের প্রসাদবিলি নিয়ে গন্ডগোল হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। হচ্ছে বিতর্ক।
রেশনের মাধ্যমে
কদিন আগেই জানা গিয়েছিল, দীঘায় জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিলি হবে রেশনের মাধ্যমে। রেশন ডিলারদের খাদ্য সরবরাহ দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী তারা কাজ করবে। তাঁরা বলছেন, এটা ভগবানের প্রসাদ, কার রেশন কার্ড আছে কার নেই– সেটা বিষয় নয়, যাঁরা নিতে ইচ্ছুক, তাঁরা সকলেই পাবেন। রেশন দোকানটা একটা মাধ্যম, সেখানে মানুষ রেশন নিতে আসেন, সেই কারণেই রেশন দোকানটাকে বেছে নেওয়া হয়েছে বিতরণের জন্য।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)