ম্যাংগো-র নামে আগেও পুলিসের নোটিস এসেছে! ছেলের ‘গুণপনা’ ফাঁস মনোজিতের বাবার| Police noticed in past against Kasba case accused Manojit Mishra says father


শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: কসবা ‘ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ‘ম্য়াংগো’ ওরফে মনোজিত্ মিশ্রের আরও গুণপনা সামনে আসছে। কলেজে দাদাগিরি-সহ বিভিন্ন বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে মনোজিতের বিরুদ্ধে। তার জেল খাটারও রেকর্ড রয়েছে। সেই কথাই বললেন মনোজিতের বাবা রবীন মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, ছেলের নামে আগেও পুলিসের নোটিস এসেছে।

মনোজিতের বাবা জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল না। আইনের ডিগ্রি পাওয়ার পর মনোজিতের হাবভাব, ওঠাবসা নেতার মতো হয়ে ওঠে। তার পর থেকেই তিনি আর ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন না। সে আলাদা ফ্ল্যাটে থাকত। প্রাকটিসও করত। কিন্তু তার পরও কলেজে কেন চাকরি? হিসেব মেলতে পারছেন না রবীনবাবু। 

ছেলের ‘গুণপনা’ অনেক আগে থেকেই নজরে এসেছিল রবীন মিশ্রর। তিনি জানিয়েছেন, খেলা নিয়ে একবার গন্ডগোল হয়েছিল। পুলিস নোটিস দিয়েছিল। ছেলে থানায় গিয়েছিল দেখা করতে। ও কেন কলেজে চাকরি নিয়েছিল জানি না। ও উকিল হিসেবে যে আয় করত তার থেকে অনেক কম আয় চাকরি থেকে। এতে ওর লোকসান!

মনোজিত ওরফে ম্যাংগো-র মা ছেলের ব্যাপারে কথা বলতে চাননি। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, ছেলের ব্যাপারে তিনি কিছু বলতেও চান না শুনতেও চান না। যা জানার ওর বাবার কাছ থেকে জানুন। অন্যদিকে, মনোজিতের বাবার আক্ষেপ, সন্তানকে একটা বয়স পর্যন্ত শাসন করা যায়। যখন সে রোজকার করতে শেখে তখন কি তাকে কিছু বলা যায়? কলেজে ও খুব পপুলার ছিল।

উল্লেখ্য, কসব ‘ল কলেজ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ৩ জন। মনোজিত্ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদ।  জানা যাচ্ছে কলেজে মনোজিত্ মিশ্র ওরফে ম্যাংগো-র বেশ রমরমা প্রভাব ছিল। সে প্রভাবকে কাজে লাগিয়েই সে বছরের পর বছর ধরে কলেজে যাতায়াত করত। সম্প্রতি সে চুক্তিভিত্তিক কাজও নিয়েছিল। কলেজ ছুটির পর আশেপাশের চায়ের দোকানে তাকে দেখা যেত। ছাত্র নেতা না হলেও কলেজে ম্যাংগোই ছিল শেষকথা।

আরও পড়ুন-পদ্মাপারে রথযাত্রা উৎসব! অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে ঢাকায় শুরু শুভ রথযাত্রা, মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতায়…

আরও পড়ুন-ছেলের ‘কীর্তি’ শুনে বিস্ফোরক মনোজিতের মা…

কসবা কাণ্ডের দ্বিতীয় অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যয়া। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার বাসিন্দা। ডাক নাম ঋজু। কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের রেকর্ড নেই। প্রাথমিক তদন্তে এখনও পর্যন্ত যা উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে প্রমিত মূলত মনোজিৎকে অপরাধে সাহায্য করেছিল। এখন সে কতটা অপরাধী তা জানতে তাঁকে এবং মনোজিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।

ঘটনার তৃতীয় অভিযুক্ত জায়েব আহমেদ। তোপসিয়ার জি জে খান রোডের বাসিন্দা। কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বোসপুকুর তালবাগান ক্রসিং থেকে ধরা পড়ে জায়েব আহমেদ। রিফিউজ করার আক্রোশ থেকে ঘটানো এই ঘৃণ্য অপরাধ পূর্ব পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখতে জায়েবের মোবাইল ফোনের পরীক্ষা চলছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *