জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রথমদিন যে এফআইআর-এর কপি সামনে এসেছিল তাতে নির্যাতিতার বযান খুব স্পষ্ট ছিল। এবার অভিযুক্তদের বয়ানের সঙ্গে তা মিলে যাচ্ছে। কসবাকাণ্ডে জানা গিয়েছে, প্যানিক অ্যাটাকের পর ইনহেলার দিয়ে সুস্থ করে ফের চলেছিল ধর্ষণ। ইনহেলার সুস্থ করতে নয় দেওয়া হয়েছিল যাতে সুস্থ করে অত্যাচার চালানো যায়। এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আলিপুর আদালতে শুনানির সময় সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনেন।
তিনি আদালতকে জানান, নির্যাতিতাকে সুস্থ করতে ইনহেলার ব্যবহার করা হয়নি, বরং উদ্দেশ্য ছিল আরও বেশি নির্যাতন চালানো। মেডিক্যাল এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ, সিসিটিভি-র ফুটেজ, সবই নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে৷ নির্যাতিতা তাঁর অভিযোগপত্রে আগেই জানিয়েছিলেন, নির্যাতনের সময় তিনি অসুস্থ বোধ করলে মনোজিৎ এবং তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে ইনহেলারও কিনে এনে দিয়েছিল৷ সুস্থ করে, ফের যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্তরা কতটা বেপরোয়া ছিল।
আদালত এদিন মনোজিৎ মিশ্র, জাঈব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে ৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। অপর অভিযুক্ত, কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণেই এদিন অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়নি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এদিকে, ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে যে অভিযুক্তরা নির্যাতিতা তরুণীকে কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে মিলেছে ভয়ংকর নির্যাতনের প্রমাণ। হাতে-পায়ে ধরে আকুতি করলেও ছাড়া হয়নি নির্যাতিতাকে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা প্রথম নয়। আগেও বহু ছাত্রী মনোজিতের হেনস্থার শিকার হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)