পাখি ‘মে*রে*ছে’ বলে ৯ নাবালককে হাত-পা বেঁধে বেদম মা*র, মা*রের চোটে ১ জন হাসপাতালে| At least 9 minors beaten for allegedly killing of hunting bird in Naxalbari


নারায়ণ সিংহ রায়: পাখি মারার অভিযোগে নাবালকদের হাত-পা বেঁধে মারধর। মারের চোটে এক নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির ওই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে। পুলিসে এনিয়ে অভিযোগ করেছেন নিগৃহীত নাবালকদের অভিভাবকরা।

কী হয়েছিল? গতকাল বিকেলে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির রায়পাড়ায় ৯ নাবালক স্কুল ছুটির পর পাশের অটল চা বাগানের সাতভাইয়া সাবডিভিসনে ঘুরতে যায়। নাবালকদের দাবি, ঘুরতে ঘুরতে তাদের একটি মরা পাখি দেখতে পায়। কৌতুহলবশত পাখিটিকে একজন তুলে নেয়। তখনই সেখানে চলে আসে চা বাগান কর্মী নন্দলাল রাউতিয়া। সঙ্গে সঙ্গে সেই ওই নাবালকদের ধরে ফলে। তার দাবি পাখিটিকে ওই নাবালকই মেরেছে। ওই সন্দেহের বশেই সে ওই নাবালকদের প্রবল মারধর করে।

এখানেই শেষ নয়, চা শ্রমিকদের অভিযোগ, পাখি মারার জন্য নাবালকদের বাড়িতে ফোন করে টাকার দাবি করা হয়। বাড়িতে খবর যাওয়ার পর নাবালকদের বাড়ি থেকে লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে ওইসব কিশোরদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া প্রশান্ত তির্কিকে এমনই মারধর করা হয় যে তার নাক মুখ ফুলে যায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘শমীককে কেউ যদি অনভিজ্ঞ বলে তাহলে…’, মুখ খুললেন দিলীপ

আরও পড়ুন-মাঝরাতে যুগলের ঘর থেকে প্রবল চিত্কার, প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখলেন মর্মান্তিক কাণ্ড..

ওই নাবালকের অভিভাবক পুরসা তির্কি বলেন, ঘরে ছিলাম না। কাজে গিয়েছিলাম। ঘরে এসে শুনলাম ছেলেরা স্কুলের ছুটির পর ঘুরতে গিয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে একটি মরা টিয়াপাখি দেখতে পায়। সেটা হাতে তুলে নেয়। এরপরই একজন এসে ওদের প্রবল মারধর করে। ওদের বলে পাঁচশো টাকা জরিমানা দিতে হবে। তা না দিলে কেস করে দেবে। মেরে গাল, মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার ৯ বছরের যে ছেলেটা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তার খরচ কে দেবে? পুলিসে অভিযোগ করেছি। ওদের শাস্তি চাই। তা না হলে ওকে আমাদের হাতে তুলে দিক। আমরাই ওর বিচার করব। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *